তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁর পোরশার খাসাহার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

নওগাঁর পোরশার খাসাহার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান
[ভালুকা ডট কম : ১৩ এপ্রিল]
নওগাঁর পোরশার খাসাহার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩টি জরাজীর্ণ কক্ষে চলছে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো পরও ৮ বছরেও কোন সংস্কারের উদ্দোগ না নিলেও বাধ্য হয়ে আতঙ্কেই পাঠদান করা হচ্ছে। যে কোন অবস্থায় বিদ্যালয়ের ৪ কক্ষ বিশিষ্ট ভবনটির বেশ কিছু দেয়াল ভেঙ্গে পড়তে পারে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অবিভাবক, এলাকাবাসি ও শিক্ষার্থীরা দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলার ঘাটনগর ইউপির খাসাহার গ্রামে ১৯৭০ইং সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯২সালে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট ভবনটি পূণঃ নির্মাণ করা হয়। ভবনটির একটি কক্ষ অফিস ও ৩টি শ্রেণি কক্ষ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গত কয়েক বছর থেকে আগে কক্ষগুলির যেখানে সেখানে ফেটে গেছে এবং দেয়ালের প্লাষ্টার উঠে গেছে। এ ছাড়াও বৃষ্টির পানিতে ছাদ স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায়। বৃষ্টির সময় ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। ভবনটির জরাজীর্ণর অবস্থা রয়েছে। যে কোন সময় বেশ কিছু অংশ দেয়াল ভেঙ্গে পড়তে পারে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জানান, শ্রেণি কক্ষগুলোর বেহাল অবস্থা। বর্ষার সময় কক্ষে পানি জমে যায়। এ ছাড়াও দেয়াল ফেটে যাওয়ায় তাদের ভয় লাগলেও তাদের ক্লাশে থাকতে হয়।

অবিভাবক মোঃ ফয়তুল ও শাজাহান আলী জানান, বিদ্যালয়ের যে অবস্থা তাতে তাদের শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়ে তাদের চিন্তাই থাকতে হয়। যে কোন সময় কক্ষগুলো ভেঙ্গে পড়তে পারে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজনীন সুলতানা জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিশু থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত দুটি শিফটে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী জরাজীর্ণ শ্রেণি কক্ষে লেখাপড়া করছে। বিদ্যালয়টির দেয়াল বিভিন্ন জায়গায় ফেটে যাওয়ায় মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কক্ষে বসে পাঠ নিতে ভয় পান। তার পরেও অফিসিয়াল অনুযায়ী আমরা পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মমতাজ আলী জানান, ভবনটির জরাজীর্ণ অবস্থা রয়েছে। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও লেখাপড়া ব্যহত হচ্ছে। ৮ বছর আগে থেকে বার বার শিক্ষা অফিসসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর ২০১৩ ইং সালের জুন মাসে উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ থেকে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করলেও শ্রেণি কক্ষগুলি সংস্কারের সরকারী কোন উদ্যেগ নেয়া হয়নি। এতে তাদের আতঙ্কে থাকতে হয়।

পোরশা উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল জলিল জানান, বিদ্যালয়ের সংস্কারের জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই