তারিখ : ০২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকার মেধাবী ছাত্র গোলাম রহিম বাপ্পি ভেসে গেলো সমুদ্রের পানিতে

ভালুকার মেধাবী ছাত্র গোলাম রহিম বাপ্পি ভেসে গেলো সমুদ্রের পানিতে
[ভালুকা ডট কম : ১৫ এপ্রিল]
ঢাকার আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ জন শিক্ষার্থীর একটি দল সোমবার দুপুর ২টায় ককক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনে যান। সেন্ট মার্টিনে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের  ৬শিক্ষার্থী সমুদ্রে গোসল করতে নামলে এ সময় সমুদ্রের পানিতে ৬জন ভেসে যায়। এ সময় মফিজুল ইসলাম ওরফে ইভান (২৩) ও সাদ্দাম হোসেন ওরফে অঙ্কুরের (২৩) লাশ পাওয়া গেলেও  ভালুকা পৌরসভার ৫নংওয়ার্ডের বাসিন্দা ক্যাডেটের মেধাবী ছাত্র গোলাম রহিম বাপ্পি সহ তার ৩সতীর্থ উদয় মাহমুদ, শাহরিয়ার কবির নোমান, সাব্বির হাসানের সন্ধান মেলেনি।

গোলাম রহিম বাপ্পির পিতা সাবেক উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা শামছুদ্দিনের ৪র্থ সন্তান। তারা ৪ভাই,১বোনের মাঝে। বাপ্পী মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে ২০০৮সালে এইচএসসি পাশ করা পর আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে ভর্তি হয়।

সন্টমার্টিনের সমুদ্রে নামার পর নিখোঁজ হওয়া চার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর খোঁজে নৌ-বাহিনীর উদ্ধার তৎপরতা চলছে। নৌ-বাহিনীর ‘সার্চ মিশন’ নামে এই উদ্ধার অভিযানের কথা জানান নেভাল কমোডোর রাশেদ আলী। তার নেতৃত্বেই অভিয়ানটি পরিচালিত হচ্ছে।

রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ জন শিক্ষার্থীর একটি দল সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আসার পর সোমবার তারা সেন্টমার্টিনের সৈকতে গোসল করতে নামলে স্রোতের টানে ভেসে যান কয়েকজন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং তিনজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত তিন শিক্ষার্থী আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। আর এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরো চার শিক্ষার্থী। সোমবার যখন সারা দেশের বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন উদযাপিত হচ্ছিল, তখনই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

এদিকে, নিখোঁজ ছাত্রদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ উল্লেখ করে নেভাল কমোডোর রাশেদ আলী জানান, নৌ-বাহিনীর পেট্রোল জাহাজ ঘটনাস্থলে রয়েছে। নিখোঁজ ছাত্রদের উদ্ধারের লক্ষ্যে নৌ-বাহিনীর ডুবুরি দল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এই ঘটনায় নিহত মানফেজুল ইসলাম ইভান ও সাদ্দাম হোসেন অংকুরের মৃতদেহকে নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার রাত ১টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয় নিহতদের মৃতদেহ।

অন্যদিকে নিখোঁজ অপর চার শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করার জন্য নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড ও পুলিশসহ স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। নৌ বাহিনীর কমোডোর রাশেদ আলীর নেতৃত্বে অভিযানটি চালাচ্ছে নৌ-বাহিনীর একটি বিশেষ দল।

টেকনাফ কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার কাজী হারুনুর জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেন্টমার্টিন এবং আশেপাশের এলাকায় নিখোঁজ ছাত্রদের উদ্ধারের জন্য ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছেন তারা। এছাড়া টেকনাফ উপকূলীয় এলাকায়ও নিখোঁজ ছাত্রদের লাশ ভেসে উঠছে কি-না তারও খোঁজ খবর নিচ্ছেন তারা।

আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ চার শিক্ষার্থী হলেন- সাব্বির, উদয়, বাপ্পি ও নোমান।
আর উদ্ধারকৃত চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা হলেন- ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা মোক্তার হোসেনের ছেলে আসিফ (২৫), হাবিব উল¬াহর ছেলে ফয়সার হাবিব (২৪) এবং কুমিল্লার শামসুল হকের ছেলে ফারহানুল হক (২৪)।এদের প্রত্যেকেই আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্র্ষের শিক্ষার্থী।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই