তারিখ : ০১ মে ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকার নিখোঁজ বাপ্পির লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা,মা জ্ঞানহীন পিতা বাকরোদ্ধ

ভালুকার নিখোঁজ বাপ্পির লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা,মা জ্ঞানহীন পিতা বাকরোদ্ধ
[ভালুকা ডট কম : ১৬ এপ্রিল]
ঢাকার আহছনউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী এসএম গোলাম রাহিম বাপ্পি সমাপনী পরীক্ষা শেষে বন্ধুদের সাথে সেন্টমার্টিনে বেড়াতে গিয়ে সাগরে নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন পর বুধবার সকালে তার লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে পরিবারের মধ্যে কান্নাররোল পড়ে যায়।

লাশ উদ্ধারের খবর বাড়িতে পৌছলে বাপ্পির পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও আশপাশের লোকজনের কান্নায় এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠে। দুর দুরান্ত থেকে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশিরা নিহত বাপ্পির বাড়িতে ভিড় করছে। এদিকে লাশের জন্য অধির আগ্রহে প্রহর গুণছেন তার পরিবার। লাশ উদ্ধারের সংবাদ পাওয়ার পর নিহত বাপ্পির মামা শাহজাহানসহ পরিবারের লোকজন লাশ আনার জন্য রওনা হয়েছেন। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে মা শামছুন্নাহার ছেলের কথা মনে করে বাড়িতে আসা আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশিদের জড়িয়ে ধরে বাপ্পি বাপ্পি বলে আহাজারি করে মাঝে মাধ্যেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। আর বলেছেন, আমার সোনার ধন বাপ্পিকে এনে দাও, কারো শান্তনাই বোঝ মানছেনা না তিনি।

ভালুকা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বসবাসরত অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার শামছুদ্দিন আহমেদ ও শামছুন্নাহার আহমেদ দম্পতির পাঁচ ছেলে মেয়ের মাঝে বাপ্পি ছিলে চতুর্থ। সে স্থানীয় শাপলা বিদ্যানিকেতন থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে মির্জাপুর ক্যাডট কলেজে ভর্তি হয়। সে প্রাথমিকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি ও মির্জাপুর ক্যাডট কলেজে থেকে ২০০৬ সালে জিপিএ ৫ পেয়ে এসএসসি ও ২০০৮ সালে জিপিএ ৫ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন।

নিহত বাপ্পির বাকরুদ্ধ পিতা শামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমার অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ হয়ে গেছে। অনেক স্বপ্ন ছিল বাপ্পিকে নিয়ে। তিনি কান্নজড়িত কন্ঠে বলেন, ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর গত ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সে বাড়িতে এসে সবার সাথে দেখা করে বন্ধুদের নিয়ে সেন্টমার্টিন বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় এবং সেখানে গিয়ে আমার মোবাইলে এসএমএস করে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানায়। এটাই যে ছেলের সাথে আমার শেষ যোগাযোগ হবে, তা ভাবতে পারিনি।

নিহত বাপ্পির ছোট ভাই সাব্বির জানান, সোমবার সকালে ফোনে ভাইয়ার সাথে আমার শেষ কথা হয়। ওই দিন দুপুরে ভাইয়ার বন্ধু সাকিলের মাধ্যমে সেন্টমার্টিনে দুর্ঘটনার খবর শুনে ভাইয়ার মোবাইলে ফোন দিলে অন্যলোকে মোবাইল ধরে ভাইয়ার নিখোঁজের সংবাদ জানান। নিহত বাপ্পির মামা শাহজাহান জানান, ওই এলাকার ইউএনও’র সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে, তিনি জানিয়েছেন, লাশ সেন্টমার্টিনে রাখা সম্ভব নয়, নিহতের লাশ কক্সবাজার পাঠানো হচ্ছে। আমরা সেখান থেকে লাশ আনার জন্য যাচ্ছি।

নিহত বাপ্পির লাশ তার গ্রামের বাড়ি পাশের ত্রিশাল উপজেলার কানহারি ইউনিয়নের স্বরস্বতিকান্দা গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই