তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

বেনাপোলে কাস্টমসের আইডি কার্ড ব্যবহার করে ফ্রি-স্টাইলে চলছে হুন্ডি ও সোনা পাচার

বেনাপোলে কাস্টমসের আইডি কার্ড ব্যবহার করে ফ্রি-স্টাইলে চলছে হুন্ডি ও সোনা পাচার
[ভালুকা ডট কম : ২৪ এপ্রিল]
দেশের বৃহত্তম স্থল বন্দর বেনাপোলে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীদের কাস্টমস থেকে দেয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে ফ্রি-স্টাইলে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচার ও অবৈধ হুন্ডি কারবার চলছে।

এমনকি সীমান্তের ছোট অস্ত্র পাচারেও ব্যবহার করা হচ্ছে এই কার্ড। এক শ্রেণীর সিএন্ডএফ কর্মচারি রাতারাতি কোটিপতি হতে বেছে নিয়েছে এই পথ। পরিবহনে বিভিন্ন কাউন্টারে কর্মরতদের পদাঙ্ক অনুসরন করে এই চক্র বেছে নিয়েছে অবৈধ এই পন্থা। অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্বরত পুলিশ ও বিজিবির এক শ্রেণীর অসাধু সদস্যদের ম্যানেজ করেই চলে এই কারবার। যে কারণে, বার বার ভারতে সোনা ও হুন্ডির টাকাসহ কাস্টমসের কার্ডধারী এসব পাচারকারীরা আটক হলেও বিজিবি বা পুলিশ এদের টিকিটি স্পর্শ করে না।

সীমান্তের সূত্রগুলো জানায়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি কাজ ত্বরান্বিত করতেই প্রয়োজন দ্রুত কাগজপত্র এবং মালামাল দেখভাল করা। আর এই সুবিধার কথা বিবেচনা করেই সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের সরকারের শুল্ক বিভাগ থেকে পরিচয়পত্র প্রদান করার বিধান রয়েছে। এই পরিচয়পত্রই এখন সোনা, হুন্ডি ও অস্ত্র পাচারকারীদের লাইসেন্সে পরিণত হয়েছে। এই পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই চলছে দেদারসে সোনা ও হুন্ডি পাচারের ব্যবসা। ইতিপূর্বে বিভিন্ন পরিবহণ কাউন্টারে কর্মরতরা প্যাসেঞ্জার পারপারের নামে সোনা ও হুন্ডি ব্যবসা শুরু করে। মাত্র ২০০/৩০০ টাকার পরিবহণ কাউন্টারের কর্মচারিদের অনেকেই এই অনৈতিক ব্যবসার মাধ্যমে কোটিপতি বনে গেছে। এদিকে, এই চক্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে এক শ্রেণীর সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারি। তারা সরকারের পক্ষে বেনাপোল কাস্টম হাউজের দেয়া এই পরিচয়পত্র ব্যবহার করছে চোরাচালানের ঢাল হিসেবে। বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সীমান্তরক্ষীদের ম্যানেজ করে ও ভারতের প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সোনা ও হুন্ডির ব্যবসায়ের জন্য দিনে একাধিক বার যাতায়াত করছে। প্রতিদিন পাচার করছে বিপুল পরিমাণ সোনা ও বৈদেশিক মূদ্রাসহ মাদকের টাকা। পাচার করে আনছে ছোট অস্ত্র। এই কার্ডধারীরা রাতারাতি কোটিপতি হতেই বেছে নিয়েছে হুন্ডির টাকা ও সোনা পাচারসহ নানা ধরনের অবৈধ ব্যবসা।

সূত্র আরও জানায়, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী  বাহিনী বিএসএফ ও পুলিশ বার বার ভারতের নো-ম্যান্স ল্যান্ড গেট থেকে কয়েকদফা সোনা ও হুন্ডির টাকাসহ পাচারকারী আটক করেছে। ইতিপূর্বে বড়-বড় কয়েকটি সোনা ও হুন্ডির চালান আটক করে চমক দেখায়। অতিসম্প্রতি দুইজন সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারিকে সোনা ও হুন্ডির টাকাসহ আটকের পর বেরিয়ে পড়ে থলের বিড়াল। বিশেষ করে গত ১২ এপ্রিল কামাল নামে এক সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারিকে ৬ পিস সোনাসহ বিএসএফ আটক করে ও ১৭ এপ্রিল লোকমান নামে এক সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীকে ৪ লাখ টাকাসহ ভারতীয় পুলিশ আটক করে। এরা দুজনই কাস্টমের কার্ড ব্যবহার করে এই পাচার বাণিজ্যে লিপ্ত ছিল।

সূত্র জানায়, কামালের ভাইও এই চক্রের সাথে জড়িত বলেই সিএএন্ডএফ এজেন্ট মালিক তাদের দুই ভাইকেই তার প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত করেছে। তারপরও থামেনি বেনাপোল প্রধান চেকপোস্ট দিয়ে নো-ম্যান্সল্যান্ড হয়ে পাচারকারীদের হুন্ডি ও সোনা পাচার। ভারতে কখনও-কখনও এই চক্রের কেউ কেউ আটক হলেও বাংলাদেশের বিজিবি ও পুলিশ নো-ম্যান্সল্যান্ড গেট থেকে কোন সোনা ও হুন্ডির টাকা উদ্ধারে তেমন কোন সফলতা দেখাতে পারেনি। চেকপোস্টে দায়িত্বপ্রাপ্ত একশ্রেণীর বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশ অর্থের বিনিময়ে এসব অবৈধ কাজে সহযোগিতা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই