তারিখ : ০২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় অপহরণের তিন মাস পর সেফটি ট্যাংকি থেকে কঙ্কাল উদ্ধার গ্রেফতার-২

ভালুকায় অপহরণের তিন মাস পর সেফটি ট্যাংকি থেকে মটরসাইকেল চালকের কঙ্কাল উদ্ধার গ্রেফতার-২
[ভালুকা ডট কম : ২২ মে]
ভালুকায় অপহরণের প্রায় তিন মাস পর অপহরণকারীর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের পাঁচগাও ঢাকির ভিটা গ্রাম থেকে শহিদুল ইসলাম(২১)নামের এক ভাড়া মোটরসাইকেল চালকের কঙ্কাল স্বরুপ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ঘটনার সাথে জড়িত উপজেলার সোনাখালী গ্রামের হযরত আলীর ছেলে হিরন মিয়া(২৫) ও চাঁনপুর গ্রামের মালে আহম্মেদের ছেলে জহিরকে(২৩) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের স্বীকারোক্তিতে ভালুকা মডেল থানার এস,আই রাহাত খান গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার বিকারটেক গ্রাম হতে ২১মে বৃহস্পতিবার ভোরে শহিদুলের হিরোসপ্ল্যান্ডার মটর সাইকেলটি উদ্ধার করেছে। এ সময় কাপাসিয়া বিকারটেক গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আবুল হাসেম(৩০)ও একই এলাকার শাহাবউদ্দীনের ছেলে কবির হোসেন(২৪) কে আটক করে ভালুকা মডেল থানায় নিয়ে আসে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়,গত(১৪ফেব্রুয়ারী)শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বর্তা গ্রামের নুর আহাম্মদের ছেলে ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক এক সন্তানের জনক শহীদুল ইসলাম বর্তা পুরাতন চৌধুরী বাড়ীর সামনে বাসা ভাড়া করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করত। ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে শহিদুল বাজার নিয়ে বাসায় আসে এবং রাতের খাবার দিতে বলে স্ত্রীকে। এ সময় তার মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। পরে শহিদুল ইসলাম তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি রেখেই মটর সাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বেড়িয়ে বর্তা বড় মসজিদ এলাকা থেকে দুইজন প্যাসেঞ্জার বেশি অপহরণকারী মোটর সাইকেল ভাড়া করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ঐ রাতে শহিদুল বাড়ী ফিরে না আসায় তার বাবা ও আত্মীয় স্বজন বহু খোঁজাখোজির পর গত (১৬ফেব্রুয়ারী) ভালুকা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন যার নং ৫৮০।

ভালুকা মডেল থানার এস,আই রেজাউল করিম ওই জিডির প্রেক্ষিতে শহিদুলের ব্যবহৃত মোবইল ফোনের সূত্রধরে অনুসন্ধান শুরু করে। ২১মে সকালে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ প্রথমে হিরন ও পরে একই দিন সন্ধায় জহিরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার কৃতদের দেয়া স্বীকারোক্তি মতে ২২মে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের পাঁচগাও ঢাকিরভিটা মৃত:রজিন্দ্র মারাকের ছেলে দিলীপ সাংমার বাড়ীর টয়লেটের সেফটি ট্যাংকের ভিতর হতে শহিদুলের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জহির ও হিরন পুলিশকে জানিয়েছে তারা প্রথমে শহিদুলকে ভাড়া করে নিয়ে গিয়ে ওই দিন গভীর রাতে উল্লেখিত অপর দুই সহযোগী ঐ এলাকার নিগেন্দ্র সাংমার ছেলে মলু সাংমা ওরফে রনি(২৩) ও অজ্ঞাত আরেকজন মিলে শহিদুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর সকলের অলক্ষে সেফটি ট্যাংকিতে ফেলে দেয়। পরে শহিদুলের মোটর সাইকেলটি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার বিকারটেক গ্রামের কবির হোসেনের নিকট ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। ওই টাকা ভাগাভাগি করে নেয় তারা।

এ দিকে ছেলেকে হাড়িয়ে তার পিতা কাঠ মিস্ত্রি থানা পুলিশ ও বিভিন্ন জায়গায় পাগলের মত খোঁজাখোজি করতে থাকে। শহীদুলের স্ত্রী ও চার মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় ২২মে ভালুকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত শহিদুলের পিতা নুর আহাম্মদ ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।

{ সংবাদ - তমাল কান্তি সরকার ,হাজী মো:জহিরুল ইসলাম জুয়েল ,সাদেকুর রহমান সোহাগ}



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই