তারিখ : ০১ মে ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় সিজার করতে গিয়ে শিক্ষিকার মর্মান্তিক মৃত্যু,মুখ খোলছেনা কেউ

ভালুকায় সিজার করতে গিয়ে শিক্ষিকার মর্মান্তিক মৃত্যু,মুখ খোলছেনা কেউ
[ভালুকা ডট কম : ১৯ জুলাই]    
ভালুকা ডিজিটাল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে সিজার করতে গিয়ে প্রতিভা আক্তার নামে শিক্ষিকার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ভালুকয় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ মৃত্যু নিয়ে প্রতিভার পরিবারের কেউ মুখ খোলছে না। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ এ মৃত্যুকে কোন ঘটনায় মনে করছেন না এবং এ মৃত্যুর জন্য তাদের কোন দায় দায়িত্ব নাই বলে জোরালো দাবি করছেন।
    
জানাযায়, বৃহস্পতিবার রাতে গফরগাঁও উপজেলার রসুলপূর বালিকা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষিকা প্রতিভা আক্তার (২৪) প্রসবের ব্যথা নিয়ে ভালুকা ডিজিটাল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিস্টিক সেন্টার ভর্তি হয়। ভর্তি হওয়ার পর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জরুরী ভিত্তিতে অপারেশনের জন্য বলে।ক্লিনিকের লোকজন অপারেশনের জন্য গভীর রাতে ফোন করে ময়মনসিংহ থেকে দুজন ডাক্তার আনেন। প্রতিভাকে ওটিতে নিয়ে সার্জিকেল ডা.আশরাফুল আলম মোল্লাহ ও জনৈক অজ্ঞাত ডাক্তার সিজার করেন। সিজার করে একটি কন্যা সন্তান হয়। বাচ্চার হওয়ার পরও প্রায় ৩ঘন্টা অপারেশন করেন। এ পর্যায়ে সকাল ক্লিনিকে নিজস্ব অ্যাম্বোলেন্স দিয়ে ওই ২ডাক্তার সহ প্রতিভাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর প্রতিভার স্বামী জুয়েল ও তার আত্নীয় স্বজনরা ক্ষোব্ধ হয়ে ওই ডাক্তারকে শরীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে।
    
অপর একটি সূত্রে জানাযায়,অপারেশন করা সময় ওসিতেই প্রতিভা আক্তার মারাযায়। কিন্তু রোগির অভিভাবকদের দেখানোর জন্য ও নিজে লাঞ্ছিত হওয়ার ভয়ে ওই ২ডাক্তার ফন্দি করে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এবং আই,সি,ইউতে বিকাল পর্যন্ত ভর্তি রাখে।
    
ক্লিনিকের অব্যবস্থাপনা অনভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে আপারেশন করায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ।
    
ডা.আশরাফুল আলম মোল্লাহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের বহিঃবিভাগে বসেন। তিনি বর্তমানে সার্জিক্যালের ওপরে ট্রেনিং নিচ্ছেন। ঘটনার রাতে প্রতিভা আক্তারকে ক্লিনিকে ভর্তি করার পর ভালুকা সার্জিকেলের কোন ডাক্তার না থাকায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ডা.আশরাফুল আলম মোল্লাহকে ফোন করলে তিনি একজন শিক্ষানবিশ অজ্ঞানের ডাক্তার নিয়ে ভালুকায় আসেন। অপারেশনের পর রোগির সমস্যা দেখা দিলে তারা নিজেরাই রোগিকে নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।

প্রতিভা আক্তার অত্যন্ত প্রতিভান মেধাবী ছাত্রী ছিল,গত বছরের ২৫আগস্ট পার্শ্ববর্তী গফরগাঁও উপজেলার কাঠালীডিংগা গ্রামের নজরুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে জুয়েলের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ে পর স্থানীয়  রসুলপূর বালিকা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষিকতা নেয়। গত ২৯/৬/২০১৪ইং তারিখ শিক্ষক হিসাবে ওই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন।

প্রতিভার এ মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে তার পিতা ও স্বামীর বাড়ির লোকজন সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলছেন না, যে কারণে এ মৃত্যুকে নিয়ে নানা রহস্যের সৃষ্টি হচ্ছে। তারা শুধু বলে প্রতিভার হায়াত এ পর্যন্ত ছিল আল্লাহ তাকে নিয়ে গেছে। অপর এক সূত্র জানায় প্রতিভার মৃত্যু পর ওই ক্লিনিকে লোকজনের সাথে প্রতিভার পরিবারের লোকজনের বিশেষ ফয়সালা হওয়ার কারণে এখন এ মৃত্যু নিয়ে তারা কোন কথা বলতেন না।
    
নিহত প্রতিভা আক্তারের বাড়ি ভালুকা উপজেলার পুরুড়া গ্রামে তার পিতার নাম আব্দুল মোতালেব মেম্বার তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং দুই দুইবার ইউপি সদস্য ছিলেন।দিনভর দু ডাক্তারের সেল নাম্বারের জন্য চেষ্টা করে সাংবাদিকরা ব্যর্থ হয়েছে। যে কারণে ডাক্তারদ্বয়ের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তাও জানাযায়নি।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই