তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুরে হতদরিদ্র সাড়ে ৫হাজার শিক্ষার্থী পুষ্টি বিস্কুট বঞ্চিত

ওরা দরিদ্র তবু নেই উপবৃত্তি
গৌরীপুরে হতদরিদ্র সাড়ে ৫হাজার শিক্ষার্থী পুষ্টি বিস্কুট বঞ্চিত
[ভালুকা ডট কম : ২৪ আগস্ট]
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে প্রাথমিক শিক্ষা সমমানের হতদরিদ্র সাড়ে ৫হাজার শিক্ষার্থীর ভাগ্যে জুটছে না পুষ্টি বিস্কুট। একই অধিদপ্তরের অধীনে নির্ধারিত পাঠ্যক্রমে জ্ঞানার্জনের জন্য অধ্যয়ন করলেও এসব শিক্ষার্থীর অনুকূলে বিস্কুট বরাদ্দ নেই বলে জানান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহানারা বেগম। এসব শিক্ষার্থীর জন্য উপবৃত্তির বাজেটও নেই।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এ উপজেলার ১২টি দাখিল মাদরাসা ও স্বতন্ত্র ৮টি এবতেদায়ী মাদরাসায় ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার পাঠদান কার্যক্রম চলে। ওরা মূলত প্রাথমিক শিক্ষার অর্ন্তভূক্ত। মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর শুধুমাত্র বই প্রদান করে থাকে। ২০১৪শিক্ষা বর্ষে ৫হাজার ২শ ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে বই প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহানারা বেগম ও সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আকিকুর রেজা বলেন, ওরা মাধ্যমিক শিক্ষার ছাত্র-ছাত্রী। মাধ্যমিক অধিদপ্তরে জনবল কম থাকায় শুধুমাত্র প্রাথমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা এ অধিদপ্তর নিয়ে থাকে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর অর্ন্তভূক্ত না থাকায় ওদের জন্য বিস্কুট বরাদ্দ নেই। উপবৃত্তি দেয়ারও সুযোগ নেই। এটি নীতি নির্ধারণী মহলের সিদ্ধান্তের বিষয়।

গৌরীপুর ইসলামাবাদ মাদরাসায় ১ম শ্রেণিতে ৮জন, ২য় শ্রেণিতে ৫জন, ৩য় শ্রেণিতে ১৮জন, ৪র্থ শ্রেণিতে ২৬জন ও ৫ম শ্রেণিতে ৪১জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। প্রাথমিক শিক্ষায় ঝড়ে পড়া, হতদরিদ্র আর অবহেলিত ছাত্র-ছাত্রীর ঠাঁই মিলছে এসব মাদরাসায়। তবে উপবৃত্তি আর বিস্কুট বরাদ্দ না থাকায় প্রতিবছর কমছে শিক্ষার্থী। একই পরিবারের দু’ভাই-বোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুষ্টি বিস্কুট পায়। ১ম শ্রেণির ছাত্রী রোজিনা আক্তার মাদরাসায় পড়ে ওর ভাগ্যে নেই বিস্কুট। এ জন্য তার খারাপ লাগে বলে এ প্রতিনিধির নিকট স্বীকার করেন।

ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচীর রহিমা আক্তার জানান, শিশু কাননে ১ম ও ২য় শ্রেণিতে ২৪৬জন ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করছে। প্রাথমিক শিক্ষায় অধ্যয়ন করলেও বরাদ্দ না থাকায় ওরাই পাচ্ছে না বিস্কুট। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আকিকুর রেজা জানান, ২০১৩ইং সনে মাদরাসা থেকে পিএসসিতে ৪৫৬জন অংশ নিয়েছিল। ২০১৪সনে ৪৭২জন ডিআর ভূক্ত হয়েছে। ইসলামাবাদ আলীম মাদরাসার সহযোগী অধ্যাপক মোঃ এমদাদুল হক জানান, মাদরাসার শিক্ষার্থীদের জেনারেল শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা দিলে শিক্ষার্থী, শিক্ষার মান বাড়ছে।

২য় শ্রেণির ছাত্রী আয়শা আক্তার, নুর ইসলাম, কামাল মিয়া, ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আসলাম আহাম্মেদ, তারা মিয়া, নুর জাহান জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমাদের ভাই-বোন পড়ে। ওরা বিস্কুট পাইলে আমরা পাইবো না, এটা ঠিক না। আমাদের মাঝে দরিদ্র আছে তাদের জন্য উপবৃত্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই