তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গাইবান্ধার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি,পানিবাহিত রোগের প্রকোপ

গাইবান্ধার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি,কাটাখালী নদীতে তীব্র ভাঙ্গন,পানিবাহিত রোগের প্রকোপ
[ভালুকা ডট কম : ২৮ আগস্ট]
গাইবান্ধা জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আবারও অবনতি হয়েছে। যেসমস্ত এলাকায় পানি নেমে যেতে শুরু করেছিল সে সব এলাকায় আবারও নতুন করে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বুধবার গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি ১ সে.মি. ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি ৭ সে.মি. এবং করতোয়া নদীর পানি ৩৬ সে.মি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন ঘাঘট নদীর পানি বিপদ সীমার ১৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের ধর্মপুর এলাকায় কাটাখালী নদীতে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত তিনদিনে এ এলাকার ১৫টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা সব হারিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। এ দিকে বন্যার পানির তোড়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তার শাখা নদীতে রামডাকুয়া এলাকার ব্রীজটি এখন চরম হুমকির মুখে। স্থানীয় লোকজন বাঁশের পাইলিং দিয়ে ব্রীজটি রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে।

অপরদিকে গাইবান্ধায় বন্যা কবলিত এলাকায় ডায়ারিয়াসহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন বন্যার পানি আটকে থাকায় এ রোগের ক্রমেই বিস্তার ঘটছে। ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত অসুস্থ লোকজন ভর্তি হচ্ছে বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় শত শত লোক চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়েছে। শিশুদের পেটের পীড়া ও জ্বর দেখা দিয়েছে। নলকুপ ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকটে এ কারণে বন্যা কবলিত এলাকায় ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডাঃ আহাদ আলী জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সময় পানিবাহিত রোগের সম্ভাবনা বাড়তে পারে। তবে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মত পর্যাপ্ত ওষুধপত্র গুদামে মজুদ রয়েছে।

জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, জেলার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত জিআর ৪ মেঃ টন চাল ও ১১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৬৭ মেঃ টন চাল, ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, সদর উপজেলায় ২৮ মেঃ টন চাল, ৬০ হাজার টাকা, সাঘাটায় ৫৩ মেঃ টন চাল, ৯৪ হাজার টাকা, ফুলছড়িতে ৬৭ মেঃ টন চাল এবং ১ লক্ষ টাকাসহ অন্যান্য বাবদ ৩২ মেঃ টন চাল ও ১ লক্ষ ৯ হাজার টাকা ওইসব এলাকার বন্যা কবলিত দরিদ্র মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।#







সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই