তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরে মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষ সংকট,একই শ্রেণিতে ১০২জন শিক্ষার্থী

রাণীনগরে মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষ সংকট,একই শ্রেণিতে ১০২জন শিক্ষার্থী
[ভালুকা ডট কম : ০১ অক্টোবর]
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ১নং রাণীনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষের সংকটের কারণে একই শ্রেণিতে ১০২জন শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে পাঠ গ্রহণ করছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের পরিচ্ছন্ন ও মনোরম পরিবেশে পাঠ গ্রহণ ।

এই বিদ্যালয়টিতে প্রতিদিন মোট ৫৪৪জন শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণ করে। বিদ্যালয়টিতে কক্ষের সংকটের কারণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়টির উত্তর দিকে অবস্থিত দীর্ঘদিনের পরিত্যাক্ত ভবনের দরজা, জানালা ও উপরের ছাউনির টিন নষ্ট হয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নষ্ট পরিবেশের তিনটি কক্ষে পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকারের পক্ষ হতে দীর্ঘদিন পর অরক্ষিত বিদ্যালয়টিকে প্রাচীর দিয়ে সুরক্ষিত করলেও ভিতরে পরিত্যাক্ত ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অরক্ষিত অবস্থায় পাঠ গ্রহণ করতে বাধ্য হতে হচ্ছে আগামীর ভবিষ্যত এই কোমলমতি শিশুরা।

একই শ্রেণিতে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীকে একই সঙ্গে পাঠদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের। বিদ্যালয়টিতে মাত্র দুইটি টয়লেট যার একটি শিক্ষকদের  আর অপরটি শিক্ষার্থীদের । এতে বাধ্য হয়ে টয়লেটের অভাবে শিক্ষার্থীদের প্রাকৃতিক কাজ সম্পন্ন করতে হয় বিদ্যালয়টির আনাচে-কানাচে আর নষ্ট হচ্ছে বিদ্যালয়টির সুস্থ্য পরিবেশ। বিদ্যালয়টির এহেন অবস্থায় অনেক সচেতন পরিবার তাদের সন্তানকে ঐতিহ্যবাহী এই মডেল বিদ্যালয়ে ভর্তি না করে বেশি অর্থ ব্যয় করে ভর্তি করছে স্থানীয় প্রাইভেট (কেজি) বিদ্যালয়গুলোতে।


বিদ্যালয় সূত্রে জানা,উপজেলার এই স্বনামধন্য মডেল বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয় ১৯৩৭ সালে সে সময়ের স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সহায়তায় মাটির কটি কক্ষ নিয়ে । এখনও প্রতি বছর সমাপনি পরীক্ষায় ও বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে শত ভাগের গৌরব ধরে রেখেছে ঐতিহ্যবাহী এই মডেল বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়টির এই পরিত্যাক্ত ভবনটি ভেঙ্গে নতুন করে ভবন তৈরি করা হলে বিদ্যালয়টির কক্ষ সংকট সমস্যার সমাধান হবে বলে অভিভাবক মহলের দাবী।

এই বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক অমল চন্দ্র সরকার জানান, বিদ্যালয়টি শ্রেণি কক্ষের অভাবে দীর্ঘদিনের পুরাতন ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। আমি ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ একাধিকবার উপড় মহলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি তবুও কোন লাভ হয়নি। উপড় মহল চাইলেই এই সমস্যা অনেক পূর্বেই সমাধান হয়ে যেত বলে তিনি জানান।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মজনুর রহমান জানান, বিদ্যালয়টির এই পরিত্যাক্ত ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন ও টয়লেট তৈরি করার জন্য জেলা অফিস বরাবর লিখিত আবেদন দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম পাটওয়ারী জানান, বিদ্যালয়টির সকল সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই