তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরের প্রায় ২শ’ বছরের পুরাতন প্রাথমিক বিদ্যালয়টির বেহাল অবস্থা

দেখার কেউ নেই
রাণীনগরের প্রায় ২শ’ বছরের পুরাতন প্রাথমিক বিদ্যালয়টির বেহাল অবস্থা
[ভালুকা ডট কম : ২২ অক্টোবর]
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ২শত বছরের পুরাতন ঐতিহ্যবাহী বাঁশবাড়ীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা। পরিত্যাক্ত ভবন যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন, ছাত্র-ছাত্রী, অবিভাবক ও সচেতন মহল।

এছাড়াও ওই ভবনের খুলে পরা জানালা, টিন , পাঠদানের কক্ষে রাখতে বাধ্য হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের বসা ও পাঠদানের সমস্যা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বার বার অবগত করেও কোন কাজ হয়নি বলে জানান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
          
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিত কুমার প্রাং জানান, ১৮০২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করা হয়। বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক সুধীর চন্দ্র প্রাং অজোপাড়া গ্রাম এলাকার শিশুদের শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রথমে ৬শতক জমি দান করেন প্রতিষ্ঠানে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে প্রতিষ্ঠানটি নানা সমস্যায় জর্জড়িত থাকলেও স্বাধীনতা অর্জনের পর বিদ্যালয়টিকে সরকারী করন করা হয়। তখন মাটির কয়েকটি কক্ষ নির্মাণ করে পাঠদান করা হতো। এরপর ১৯৮২ সালে এরপর চার কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। ওই ভবন এর শ্রেণি কক্ষগুলো অনুপযোগী হলে ২০০১ সালে নতুন চারটি কক্ষ বিশিষ্ট আর একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। এরপর ওই কক্ষগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরিত্যক্ত ঘোষণা করা দীর্ঘদিন হলেও সরকারী ভাবে ভেঙ্গে ফেলার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। বিদ্যালয় চলাকালে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা সবার অজানতেই ওই কক্ষে খেলাধুলা করে। যার কারণে যে কোন বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। কক্ষগুলোর লোহার জানালা-দরজা, টিনসহ হাজার-হাজার টাকার সম্পদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকটি জানালা, টিন খুলে পড়লে পাঠদানের শ্রেণি কক্ষে রাখতে বাধ্য হয়েছেন। যার কারনে ছাত্র-ছাত্রীদের কক্ষে বসা ও পাঠদানে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
        
কমিটির সভাপতি মোসলেম উদ্দিন জানান, গত কয়েক বছর থেকে সমাপনি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ থাকলেও প্রায় ২০০জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য পর্যাপ্ত বেঞ্চ, শ্রেনিকক্ষ, লাইব্রেরী নাই। যার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনা করার ক্ষতি হচ্ছে। ছোট্ট একটি খেলার মাঠ থাকলেও মাঠটি অনুপযোগী। পরিত্যক্ত ভবনের দেয়াল ফেটে গেছে। এছাড়াও সামনে কাল বৈশাখী ঝড়ের সময়। ঝড়ে টিন খুলে উড়ে যে কোন সময় বড় ক্ষতি ও দেওয়াল ভেঙ্গে পড়তে পারে। তিনি আরো বলেন, ২০১১সালের শেষ দিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করা কালে সমস্যার বিষয়টি জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
                
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মজনুর রহমান  জানান, এই  বিদ্যালয়ের সমস্যা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জানানো হয়েছে ।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম পাটওয়ারী জানান, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই