তারিখ : ০২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় অসাধু বিট অফিসারসহ ভূমিদস্যূদের নির্যাতন বন্ধে অসহায় পরিবারের সাংবাদিক সম্মেলন

ভালুকায় অসাধু বিট অফিসারসহ ভূমিদস্যূদের নির্যাতন বন্ধে অসহায় পরিবারের সাংবাদিক সম্মেলন
[ভালুকা ডট কম : ০৫ নভেম্বর]
ভালুকায় বন বিভাগের অসাধু বিট অফিসার ও ভূমিদস্যূদের নির্যাতন বন্ধের দাবিতে  বুধবার সকালে ভালুকা সদরে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে একটি অসহায় পরিবারের সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে ওই অসহায় পরিবারের সদস্য সুফিয়া খাতুন জানান, ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি মৌজার ১১০দাগের ৮একর ৮৩শতাংশ জমির মালিক তারা সাত ভাইবোন এবং দীর্ঘদিন যাবৎ তারা ওই জমির উপর ঘর বাড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু ওই জমি বনের বলে দাবি করে আসছে স্থানীয় বন বিভাগ। অতিসম্পতি তিনি তার ওই বসতবাড়িতে নির্বিঘ্নে আরো একটি ঘর নির্মানের জন্য তার ছেলে শৈকতের মাধ্যমে হবিরবাড়ির বিট কর্মকর্তার কাছে ৫হাজার টাকা পাঠান। ওই বিট কর্মকর্তার হয়ে ফরেষ্ট গার্ড সাজু ওই টাকা গ্রহণ করেন। পরে ওই জমিতে ঘর নির্মান শুরু করলে বিট কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম তাতে বাধা দেন এবং হালিম নামের স্থানীয় এক জনের মাধ্যমে ৫০হাজার টাকা দাবি করেন। পরবর্তীতে সুফিয়া নিজে ওই বিট কর্মকর্তাকে ১২হাজার টাকা দিয়ে গত ১১অক্টোবর ওই ঘর নির্মান করেন।

কিন্তু চাহিদা মোতাবেক ৫০হাজার টাকা না দেওয়ায় ওই ঘর নির্মানের পরদিন বিট কর্মকর্তা থানা পুলিশ, বন কর্মচারী ও স্থানীয় কিছু ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে সুফিয়ার বাড়িতে গিয়ে ভাংচুর শুরু করেন। ওই সময় ভাড়াটিয়া বাহিনী ও বন কর্মচারীরা মমতাজ, ৯ম শ্রেণির ছাত্রী নূর নাহার, ছাত্র সোহাগ, শামছুন নাহার ও ৮মাসের অন্তসত্বা কামরুন নাহারকে পিটিয়ে আহত করে ঘটনাস্থল থেকে ধরে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় তারা ওই বাড়ির একটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বিভিন্ন ঘরের মালামাল লুটে নিয়ে যায়।

ওই সময় তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ভালুকা মডেল থানার এস আই আবদুস ছালামের সহায়তা চাইলে তিনি নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন। তাছাড়া, ওই পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিট কর্মকর্তা ও ফরেষ্ট গার্ড সাজু মমতাজ ও তার এক মামীর গায়ের কাপড় খুলে নেয়। পরে বিট কর্মকর্তা বাদি হয়ে আটক ওই ৫জনসহ মোট ১০জনের নামে রাতের আধারে গাছ কেটে অবৈধ ভাবে বনের জমি জবর দখল ও মারধরের অভিযোগে বন আইনে ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় আটককৃতদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।

এদিকে, ঘটনার পর দিন ওই পরিবারের পক্ষে মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ না করে তাদেরকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে সুফিয়া খাতুন বাদি হয়ে গত ১৬ অক্টোবর সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট দ্রুত বিচার আদালত ময়মনসিংহে একটি অভিযোগ দায়ের করলে আদালত ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তাকে মামলাটি গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ গত শনিবার রেকর্ড করে থানার এসআই আবদুল ছালামকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।

ওই মামলায় হবিরবাড়ি বিট কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, ফরেষ্ট গার্ড সাজু, স্থানীয় আবদুল হালিমসহ ৭জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো ১০/১৫জনকে আসামী করা হয়েছে। #




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই