ভালুকায় স্ত্রী,দুই কন্যাসহ শ্রমিকদল নেতা নৃশংস ভাবে খুন(আপডেট)
[ভালুকা ডট কম : ১৬ ডিসেম্বর]
ভালুকায় নৃশংস ভাবে খুন হয়েছেন স্ত্রী,দুই শিশু কন্যা সহ ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৬ডিসেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের লবণকুঠা গ্রামে।

নৃশংস হত্যাকান্ডের কারণ জানা যায়নি। ভালুকা মডেল থানা পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায়  এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায় উপজেলার লবণ কুঠা গ্রামের ওয়াইজ উদ্দিনের ছেলে হবিরবাড়ি ইউনিয়নের শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু (৩৫)কে বাড়ির পাশে আংগিনায় রাখা নিজস্ব বাসে (ঢাকা-জ-৪৫১৬) ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে খুন করা হয়। এ সময় বাচ্চুর স্ত্রী শেফালী আক্তার (৩০),শিশু কন্যা জীনিয়া (৬) ও রিভা(১)কে একদল দুর্বৃত্ত ঘরের ভেতর ঢুকে শেফালী নৃশংস কুপিয়ে হত্যা করে ও তার দুই শিশু কন্যাকে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসঃরুদ্ধ করে হত্যা করে ঘরে তালা লাগিয়ে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

সকালে তার স্ত্রী বড় ভাই বাসের  মাঝে বাচ্চুর লাশ দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার শুরু করলে এলাকবাসী এসে ঘরের জানালা দিয়ে বাচ্চুর স্ত্রী ও দুই সন্তানের লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘরের তালা ভেঙ্গে ভিতরের ঢুকে লেপ দিয়ে পেচুনো উলঙ্গ অবস্থায় ঘরের মেজে থেকে শেফালি ও তার দু শিশু কন্যার লাশ উদ্ধার করে। এলাকাবাসীর ধারণা শেফালিকে ধর্ষণের পর দুই শিশু কন্যাসহ খুন করা হয়েছে। এসময় বাচ্চুর মা রাবেয়া খাতুন, বৃদ্ধ বাবা ওয়াইজ উদ্দিন ও শ্বাশুরি আলতান নেছাসহ আত্নীয় স্বজনের মর্মস্পর্শি কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে যায়।

বাচ্চুর স্ত্রীর বড় ভাই উকিল উদ্দিন ভূইয়া জানান,প্রতিদিন আমার বোন ভাগ্নি সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠে। সকাল ৮টা বেজে যাওয়ার পরও তারা ঘুম থেকে না ওঠায় তাদের মোবাইল ফোনে কল করলে মোবাইল বন্ধ পেয়ে খোঁজ নিতে এসে বাসের মাঝে বাচ্চুর লাশ দেখতে পাই। আমার কান্না শোনে আশপাশের লোকজন এসে ঘরের জানালায় উঁকি দিয়ে ঘরের মেজেতে রক্ত মাখা লেপ দিয়ে আমার বোন ভাগনী ঢাকা রয়েছে।

বাচ্চুর বাবা ওয়াইজ উদ্দিন জানান,আমি পার্শ্বেবর্তী পাড়াগাঁও স্বস্ত্রীক থাকি। বাচ্চু তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে এখানে (লবণকুঠায়)থাকতো। আমার ছেলেকে ইতিপূর্বেও সিডস্টোর বাজারের ব্যাপক মারধোর করে আহত করে। এ ব্যাপারে মামলা রয়েছে। পাড়াগাঁও মৌজার ২১শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত সালা উদ্দিন ও হানিফের সাথে বিবাধ চলে আসছিল।তারা আমার ওই জমি জোর করে দখল করে নেয়ার চেষ্টা করছে।

ভালুকা মডেল থানার ওসি তদন্ত আব্দুল কাদের মিয়া জানান,প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর শেফলীকে হত্যা ও কন্যাদ্বয়কে শ্বাসঃরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।ময়না তদন্ত রিপোর্টে পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।