তারিখ : ০১ মে ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় চঞ্চল্যকর ফোরমার্ডার নিহতে পরিবারের দাবী তনু একা এ হত্যাকান্ড ঘটাতে পারেনি

ভালুকায় চঞ্চল্যকর ফোরমার্ডার নিহতে পরিবারের দাবী তনু একা এ হত্যাকান্ড ঘটাতে পারেনি
[ভালুকা ডট কম : ২৭ ডিসেম্বর]
ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি লবনকোঠা গ্রামে ইউনিয়ন শ্রমিকদল নেতা রফিকুল ইসলাম বাচ্চু তার স্ত্রী, ২মেয়ে সহ নৃশংসভাবে খুন হওয়া ঘটনাটি হাফিজুর রহমান তনু একা ঘটাতে পারেনি বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ। এ ঘটনার সাথে কমপক্ষে ১০জন ঘাতক জড়িত রয়েছে বলে তারা জোরালো দাবী করেন। পুলিশের উদ্ধার করা টিভি সহ অন্যান্য মালামাল তনুর একার পক্ষে নেয় সম্ভব নয়।

শনিবার (২৭ডিসেম্বর) সরেজমিনে উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামে নিহতের পিতা ওয়াইজ উদ্দিনের বাড়িতে গেলে নিহতে বড় ভাই নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন,তনু গ্রেফতার হওয়ার পর ডিবি পুলিশের কাছে যে জবান বন্দি দিয়েছে সে একা এ নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা সঠিক নয়।আমাদের দাবী এ ঘটনার সাথে স্থানীয় আরও লোকজন জড়িত রয়েছে। ঘটনা পর থেকে ভয়ে বাড়ি থেকে আমি বাইরে বেরই না। হত্যাকান্ডে পর থেকে আমাদের বাড়ির আশপাশে অনেক অচেনা লোকজনকে আনাগোনা করতে দেখা যাচ্ছে যাদেরকে ইতিপূর্বে এলাকায় আসা যাওয়া করতে দেখা যায়নি। ফলে আমাদের পরিবারের লোকজন সার্বক্ষণিক আতঙ্কে রয়েছে। আমার ভাইয়ের কোন শত্র“ ছিলনা আমার ভাইকে ইতিপূর্বে আতা ঢালী,হানিফ,ফালু ও আলম সহ ১০/১২জন দু’বার হামলা করে আহত করে। যারা পূর্বে আমার ভাইকে  মারধোর করে আহত করে ছিল তাদের সহযোগিতায় তনু এ হত্যাকান্ড ঘটিতে পারে।

মামলার বাদী নিহতের পিতা ওয়াইজ উদ্দিন বলেন,আমি শুনেছি পুলিশ তনুকে রিমান্ড চায়নি। ডিবি তদন্তে আমরা আপতত সন্তোষ্ট যেহেতু অল্প কয়েক দিনেই মাঝেই ডিবি পুলিশ তনুকে গ্রেফতার করেছে। যদি অন্য কাউকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ না করে তবে মনে করবো ডিবি পুলিশ কোন ব্যক্তিদ্বারা ম্যানেজ হয়ে গেছে। তনুর জাবানবন্দি আমি কোন ভাবেই বিশ্বাস করিনা। একা ৪টি হত্যা ঘটনো তার দ্বারা কোন সময়ই সম্ভব নয়,অবশ্যই তার সাথে অন্য কেউ ছিল যাদের নাম তনু প্রকাশ করছেনা। বাচ্চু ও তার স্ত্রী ব্যবহৃত মোবাইল দুটি পুলিশ উদ্ধার করতে পারলে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের হয়ে আসবে।

নিহতের ছোট বোন শাহিদা খাতুন বলেন,আমি ময়মনসিংহ ডিবি অফিসে গিয়ে ছিলাম সেখানে পুলিশের উদ্ধার করা কিছু জিনিস আমাদেরকে দেখিয়েছে সে গুলো মাঝে ভাবির পরনের ৭টি শাড়ি কাপড়,বিছানার চাদর,ভাইয়ার শার্ট এবং ভাতিজির স্কুলড্র্যাস ও মাথার ক্যাপ দেখে সনাক্ত করেছি। আমার ভাই,ভাবি ও দুই ভাতিজিকে খুন করার পর খুনিরা ঘরের টিভি,ট্রাংক,বস্তা ভর্তি কাপড় চোপড় সহ অন্যান্য মালামাল লুট করে  যাওয়ার সময় ফ্রিজ থেকে মাছ,মাংস পর্যন্তও নিয়ে গেছে। তনুর একার পক্ষে এত  গুলো মালামাল নেয়া সম্ভবনয় সাথে অবশ্যই আরও লোকজন জড়িত রয়েছে।

প্রসঙ্গ,গত ১৫ডিসেম্বর রাতের যে কোন সময় ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু,তার স্ত্রী শেফালী আক্তার পারুলকে পাশবিক নির্যাতন করে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে ও তার দুই শিশু কন্যা নক্ষত্র ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে নার্সারী শ্রেনীর ছাত্রী জিনিয়া ইসলাম এবং রিভাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ গত বুধবার (২৪ডিসেম্বর)রাতে এ মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামী হফিজুর রহমান তনু,ঘটনার পর দিন নেত্রকোণা থেকে তনুর স্ত্রী হোসনা আক্তার ও তার ভাইরা ভাই রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।

{সংবাদ-জহিরুল ইসলাম জুয়েল, শাহ মোঃ আলী আজগর }



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই