তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ হাজার গ্রাজুয়েট সনদ পেলেন

৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ হাজার গ্রাজুয়েট সনদ পেলেন
[ভালুকা ডট কম : ২২ এপ্রিল]
বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৬ লক্ষাধিক। আগামী ৫ বছরে তা তিনগুণ করা হবে। প্রায় সাত হাজার গ্রাজুয়েটকে আজ সনদ প্রদান করা হল। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে যারা বঞ্চিত তারা এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদের কাজে লাগাচ্ছেন। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট।

শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ ২২ এপ্রিল বুধবার বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হমিদের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী উপিস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম একটি বৃহৎ ও বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও দূর শিক্ষণ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পদ্ধতির অন্যতম মাধ্যম। বুদ্ধিভিত্তিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হতে হবে উদার, উম্মুক্ত ও সুপ্রসারিত। আমাদের সরকারী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। যৌথ শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মান ও উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জ্ঞান ও দক্ষতায় সমৃদ্ধ পরিপূর্ণ মানুষে পরিণত হওয়ার পথ সুগম করে দিতে হবে।তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজটহীনভাবে কোর্স ক্রেডিট পদ্ধতিতে শিক্ষাদান অব্যাহত রাখছে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এক আজাদ চৌধুরী। তিনি বলেন, উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ২৩ বছর যাবত তার উদ্দেশ সফল করতে সক্ষম হয়েছে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে মধ্য ভার্চয়াল ইউনিভিার্সিটিতে রূপান্তর করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবুল হোসেন আহামেদ ভুঁইয়ার পরিচালনায় বক্তব্য দেন উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মান্নান, প্রো উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম পরিচালক আবুল কাশেম শিখদার প্রমুখ।

এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন কারী কালিয়াকৈর থেকে আগত জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে এসএসসি পাশ করে আর এগাতে পারিনি। উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে।

শ্রীপুর থেকে আসা সফিকুর রহমান, শাহিদা সুলতানা বলেন, উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আজ আমি গ্রাজুয়েটধারী।    



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই