তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গাজীপুরের শ্রীপুরে রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সম্মেলন

গাজীপুরের শ্রীপুরে রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সম্মেলন
[ভালুকা ডট কম : ২৬ এপ্রিল]
রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সহযোগিতায় বিদেশীরা ব্যাক্তিগত উদ্যোগে এগিয়ে এসেছেন। যারা শ্রমিকদের শ্রমের বিনিময়ে একের পর এক গার্মেন্টসের মালিক হয়েছেন তাদের সহযোগিতার হাত এখন কোথায়? এতিম শিশু যারা তাদের মা-বাবা হারিয়েছে, তারা কেন ওই শিশুদের মৌলিক অধিকারের খবর রাখেন না? মা-বাবা ও স্বজন হারাদের কান্না এখন ওইসব মালিকদের কানে কেন আওয়াজ তোলে না?

কান্না কণ্ঠে কথাগুলো বলেন, শ্রীপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো: সাইফুর রহমান। রানা প্লাজা ভবন ধসে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের নিয়ে এক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ২৬ এপ্রিল রোববার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার টেংরা গ্রামে শিশু পল্লী প্লাস এ সম্মেলনের আয়োজন করেন। ওইসব শিশুদের মধ্যে যারা সুবিধাভোগী তাদেরকে এখানে আনা হয়।

কক্ষভরা এতিম শিশু আর তাদের পরিবারের লোকজন। ওই কর্মকর্তার কথা শুনে বিদেশী, এদেশী সকলের চোখে টলমল করছে পানি। কেউ চোখ মুছেন আবার কেউ কাপড়ে মুখ লুকিয়ে কান্না করছেন। এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় শিশু পল্লী প্লাসে।

শিশু পল্লী প্লাসের পরিচালক সৈয়দ শামসুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মন্ডল বুলবুল, বিশেষ অতিথি ছিলেন তেলিহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার, শ্রীপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান, শিশু পল্লী প্লাসের কর্মকর্তা-কর্মী ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

শিশু পল্লী প্লাসের পরিচালক সৈয়দ শামসুল আলম চৌধুরী জানান, রানা প্লাজা ধসের পর বৃটিশ নাগরিক রব জেনকিনসন ক্ষতিগ্রস্ত ও নিখোঁজ মা-বাবার সন্তানদের মৌলিক অধিকারের চিন্তা করেন। শিশু পল্লী প্লাসের মাধ্যমে দেশের ২৬টি জেলায় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত আগ্রহী পরিবারের শিশুদেরকে প্রতি মাসে মুঠোফোনে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছেন। ১৭৫ জন শিশু এ সুবিধা প্রাপ্ত হয়। বর্তমানে এ সংখ্যা ১৪৭। ক্ষতিগ্রস্ত ওইসব পরিবারে সক্ষমতা ফিরে এলে এ সুবিধা প্রদান বন্ধ করা হবে।

তিনি আরো জানান, শিশু পল্লী প্লাস তাদের হাতে তৈরী বিভিন্ন কার্ড (বিয়ে, ভিজিটিং, আর্ট) বিক্রির টাকাও এসব শিশুদের মধ্যে বিতরণ করে।

সম্মেলনে আসা মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার সাতভাগিয়া গ্রামের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ফারজানা আক্তার জানায়, রানা প্লাজা ধসে তার মা শিল্পী নিখোঁজ হন। এরপর থেকে শিশু পল্লী প্লাস তাকে ও তার বোন আফসানা এবং ভাই আব্দুল্লাহকে প্রতি মাসে সাড়ে তিন হাজার টাকা আর্থিক সুবিধা প্রদান করে আসছে। একারণে তার বাবা সংসারের ব্যায়ভার বহনে উল্লেখযোগ্য সহযোগিতা পেয়েছেন।

টাঙ্গাইল থেকে আসা বুলবুলি বেগম বলেন, স্বামী হারিয়ে সংসার নিয়ে বিপাকে ছিলাম। ঘটনার দু’ মাস পর থেকেই শিশু পল্লীর আর্থিক সহায়তা আমাকে সাহস যুগিয়েছে।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই