তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুরে ৭দফা দাবিতে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে আবারও অবরোধ

আপডেট-গৌরীপুরে ৭দফা দাবিতে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে আবারও অবরোধ, মিলে-যানবাহনে হামলা-ভাংচুর
[ভালুকা ডট কম : ২৩ জুলাই]
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কলতাপাড়া ডেল্টা স্পিনার্স লিমিটেডের শ্রমিকদের শ্রম আইনানুযায়ী বেতন-ঈদ বোনাস বৃদ্ধি, মাতৃত্বকালীন ৬মাসের ছুটি, মাসের ১-৫তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান, অতিরিক্ত কাজের প্রাপ্য মজুরী দেয়া, পহেলা বৈশাখ ও শারদীয় দূর্গোৎসবসহ সকল সরকারি ছুটি বাস্তবায়ন, কথায় শ্রমিক নির্যাতন বন্ধকরণের দাবিতে শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুর ২টা থেকে আবারও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা এ সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে মিলের দরজা-জানালার কাচ, মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনে হামলা ও ভাংচুর চালায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মোর্শেদুল হাসান খানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।দেড় ঘন্টার অবরোধে রাস্তার দু’পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তির শিকার হন দূরপাল্লার যাত্রীরাও। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতে বিলম্ব হওয়ার কারণে ৪/৫সিএনজি-অটোরিক্সা ও ২টি বাসে হামলা চালিয়ে বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা ভাংচুর করে। মিলের ভিতরেও শ্রমিকরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করায় নিরাপত্তা রক্ষীরা মিল গেইটে তালা ঝুলিয়ে সটকে পড়তে বাধ্য হন। গত বুধবার শ্রমিকরা তাদের দাবি নিয়ে রাত ১০টা থেকে আন্দোলনে নামেন। শনিবারের মধ্যে তাদের দাবি মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সুরাহা করবেন জানিয়ে মিলের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোঃ মাহমুদুল হাসান মুন্সী আন্দোলনরত শ্রমিকদের আশ্বাস দিয়ে আন্দোলন থামান।

শ্রমিকরা জানান, শনিবার তাদের সাথে কোন আলোচনা না করেই কাজে যোগ দিতে শ্রমিকদের বাধ্য করে মিল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সুরাহা না হওয়ায় দুপুর ২টায় কর্মবিরতীর ডাক দিয়ে শ্রমিকরা ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে। শনিবার (২৩ জুলাই) এ রির্পোট পাঠানো পর্যন্ত (বিকাল ৫টা) উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সানাউল হক, ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সরকার, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হাসান আজাদ লিটন, গৌরীপুর থানার ওসি (তদন্ত) মুহাম্মদ মোর্শেদুল হাসান খান ও শ্রমিকদের ৫সদস্যের একটি টিম মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক চলছে।

শ্রমিকরা জানান, মাসের ২০তারিখ হলেও বেতন পাওয়া যায় না। কবে বেতন দেয়া হবে কেউ বলতে পারে না। অপারেটর সালেহা জানান, ৮বৎসর যাবত কাজ করছে বেতন ৪হাজার টাকা। ঈদ বোনাস দেয়া হয়েছে ২হাজার টাকা। চিকিৎসাভাড়া, বাড়ি ভাড়াসহ শ্রমআইন অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন না। লায়লা আক্তার জানান, মাতৃত্বকালীন ছুটি সরকার ৬মাস দিলেও আমরা পাচ্ছি মাত্র ৩মাস। শ্রমিক পারভীন আক্তার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন ২০বছর ধরে কাজ করছি বেতন মাত্র ৩হাজার টাকা। একদিন অনুপস্থিত হলেই হাজিরা বোনাসসহ ৭শ/৮শ টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে। মিলের রিং সেকশন, কোন, বুলুরুম, ডায়িং, কাটিং, স্যামকেলিং, বয়লার, ডিলিং ও ফিনিশিং সেকশনের শ্রমিকরা কয়েকদফা আন্দোলন করলেও মালিকপক্ষ কোন প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি বলে দাবি করেন।

মিল কর্তৃপক্ষের হয়ে শ্রমিকদের সুপারিশ করেন এলাকার টগবগে তরুণ মোজাম্মেল হোসেন। তিনিও শ্রমিকদের কষ্টের কথা উল্লেখ করে বলেন মাত্র ৩হাজার টাকা বেতনে ভাত কিনতে পারলেও তরকারী কিনতে পারছে না। সন্তানদের চিকিৎসা, শিক্ষার সুযোগ নেই। শ্রমিকদের কাজ যোগ দিচ্ছে চাপ দেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের নন্দীগ্রামের জালাল উদ্দিন। তিনি এখানে ১০হাজার টাকা পান অন্য কোথাও গেলে দ্বিগুণ বেতন পেতেন বলে জানান। আরেক কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ ১১হাজার ৩০০টাকা বেতন পান। তিনি জানান, গ্রেড অনুযায়ী বেতন হওয়ার কথা ২০হাজার টাকা উপরে। তবু মালিকপক্ষের হয়ে শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে জোরজবরদস্তি করছেন। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই