তারিখ : ০৮ মে ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নীলফামারীর ডিমলায় বন্যা ও ভাঙ্গনে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ

নীলফামারীর ডিমলায় বন্যা ও ভাঙ্গনে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ
[ভালুকা ডট কম : ২৯ জুলাই]
নীলফামারীর ডিমলায় ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে বন্যা ও বন্যা পরবর্তী তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে একটি ইউনিয়নের কয়েকটি স্কুল বিলিন হয়ে গেছে। বিশেষ করে শিক্ষা কার্যক্রম এখন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে ওই ইউনিয়নটিতে।

এবারের বন্যায় সর্বনাশী তিস্তার গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের ৬ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি মাধ্যমিক ও ১টি কিন্ডার গার্ডেন বিদ্যালয় বন্যা ও ভাঙ্গনের কবলে পরে ধ্বংস হয়ে গেছে। ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন না হলেও দীর্ঘদিন ধরে পানিতে তলিয়ে রয়েছে।এছাড়া ওই ইউনিয়নের রাস্তাঘাট পুল কালভার্ট বিধ্বস্থ হয়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ  রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, টেপাখড়িবাড়ীর ৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্যায় কোমর পানিতে তলিয়ে ও ভাঙ্গনের কারনে বিদ্যালয় গুলির বেশীরভাগ অংশ নদীগর্ভে বিলীন  হয়ে গেছে। যার কারনে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছেন না।জেলার ডিমলা উপজেলার চরখড়িবাড়ী মধ্য সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরখড়িবাড়ী বাবুপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিঞ্জিরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, টেপাখড়িবাড়ী ২নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্বখড়িবাড়ী প্রাথমিক সরকারী বিদ্যালয়, হায়দার পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একতার বাজার কিন্ডার গার্ডেন বিদ্যালয় ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিধ্বস্থ হয়েছে। ও ইউনিয়নটির একমাত্র টেপাখড়িবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়টি বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে।

টেপাখড়িবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  ফাতেমা খাতুন জানান, বন্যায় ও ভাঙ্গনের কারনে বিদ্যালয়টির অস্তিত্ব প্রায় বিলিন হয়ে গেছে। তিনি জানান, গত একমাস যাবত পাঠদান দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের ভব্যিষৎ জীবন হয়ে পড়ছে অনিশ্চিত। জিঞ্জির পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাছেদ জানান, তার বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে বিদ্যালয়টি কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে।

এছাড়া কিছু অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রায় এক মাস যাবত ৩১৮ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান বন্ধ রয়েছে। চরখড়িবাড়ী মধ্য সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদৎ হোসেন জানান, তিস্তার বন্যার শুরুতেই বন্যার পানি ও ভাঙ্গনে বিদ্যালয়ের দুটি ভবন দেবে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যায়। গত দেড় মাস যাবত ৪৪৩ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান বন্ধ রয়েছে।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই