তারিখ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ত্রিশালে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর ধানের জমি

ত্রিশালে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর ধানের জমি
[ভালুকা ডট কম : ২৪ এপ্রিল]
কিছু কিছু ধান সবেমাত্র পাকতে শুরু করেছে। কাটবে ধান, তোলবে ঘরে, ফুটবে হাসি কৃষকের মুখে মুখে। কৃষকের মুখে হাসি ফুটার আগেই অবিরাম বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কয়েক হাজার হেক্টর জমির ধান।

উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের চিরাতল বিল, গলর বিল। কাঠাঁল ইউনিয়নের বোকা বিল, বুইড়াকুঁড়ি, কয়রাকুঁড়ি, মানিকশা বিল, হরিরামপুর ইউনিয়নের গোলাভিটা হারবার পাতাল বিল, কানিহারী ইউনিয়নের কাকশা বিল, ভলি বিল, বলর বিল, ধানীখোলা ইউনিয়নের গোয়াল বিল, আংরা বিল, চেচুয়াকুঁড়ি বিল, লতিয়া বিল, পাজরা বিল, চাটাকুঁড়ি বিল, জিরু বাইদের বিল, গুজাকুঁড়ি বিল ও ধলি বিল। আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের নর্তা বিল, নামাপাড়া হরি বিল ও হারভা বিল। পাগারিয়া নদীর পানিতে বালিপাড়া ইউনিয়নের বিয়ারা, বালিপাড়া ও ধলা নামাপাড়া এলাকার ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। সুতিয়া, পাগারিয়া,  খিরু নদীর পানিতেও তলিয়ে গেছে মঠবাড়ী ইউনিয়নসহ নদীরপাড়ের কয়েক হাজার একর ধানের জমি। হাজার হাজার টাকা খরচ করেন কৃষকরা ভাল ফলনের জন্য, ভাল ফলন তো দুরের কথা গত কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে ওইসব বিল ও নদীরপাড়ের প্রায় সব ক্ষেত এখন পানির নিচে। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এ সব এলাকার কৃষকরা।

রামপুর ইউনিয়নের চকরামপুর গ্রামের চিরাতল বিলপাড়ের কৃষক আলী হোসেন বলেন, সব স্বপ্ন তো এবার পানির নিচে। কৃষিই আমার একমাত্র ভরসা, কৃষিকাজ করে যা পাই তাই দিয়ে ছেলে-মেয়ে,নাতিদের লেখাপড়া ও অন্যান্য খরচ চলতো। ওই গ্রামের জামাল উদ্দিন, কবির হোসেন, আব্দুল কাদির মোহাম্মদ আলী, জামাত আলী, আজগর আলী, আইউব আলী, রুহুল আমিন, শফিকুল ইসলাম সহ অনেকে জানান, বোরো আবাদে টানের ক্ষেতের চেয়ে বিলের ক্ষেতে ধান বেশি উৎপাদন হতো। এই ধান বিক্রি করেই ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া ও পরিবারের খরচ চলতো। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে খুব হিমশিম খেতে হবে আমাদেরকে।

কানিহারী ইউনিয়নের এলংজানি গ্রামের হাফিজুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির পানিতে ধান তলিয়ে যাচ্ছে, শুধু ধানেরশীষটা পানির উপরে কোন রকমে হাবুডুবু খাচ্ছে, তাই ৭শ টাকা মাইনে দিয়ে অর্ধপাকা ধান কাটাচ্ছি। কৃষকদের অভিযোগ, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের পাশে দাঁড়ানো অথবা শান্তনা দেয়া তো দুরের কথা ওইসব এলাকা পরিদর্শন বা খোঁজখবর পর্যন্ত নেননি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল জানান, ১ হাজার হেক্টর জমি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে মর্মে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছি। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই