তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁয় বন্যায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর পানি কমতে শুরু করেছে
নওগাঁয় বন্যায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি,খোলা হয়েছে ৪৫ আশ্রয় শিবির
[ভালুকা ডট কম : ১৮ আগষ্ট]
বৃহস্পতিবার ভোরবেলা নওগাঁ সদর উপজেলার শহরতলীর ইকরতারা নামক স্থানে ভেঙ্গে যাওয়া ছোট যমুনা নদীর বাঁধ ভাঙ্গা স্থান দিয়ে নদীর পূর্ব তীররে বন্যার পানি প্রবেশ এখনও অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার পর পর এলাকাকাবাসী বাঁধের ভাঙ্গা স্থান মেরামত করলেও সামান্য সময়ের ব্যবধানে ভেঙ্গে গেছে।

এদিকে গত ২ দিনে বন্যার পানিতে ডুবে ২ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন মহাদেবপুর উপজেলার আলীদেওনা গ্রামের কোমর উদ্দীনের ছেলে আজিজার রহমান (৫০) ও রাণীনগর উপজেলার কনৌজ গ্রামে ঋষিপাড়ার সতিশের ছেলে অজিত (৫০)।

পানি উন্নয়ন বের্ডের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায় জেলার আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীসহ সকল নদীর পানি ধীর গতিতে কমতে শুরু করেছে। ১১টি উপজেলার মধ্যে ৯টি উপজেলার বিস্তির্ন অঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বেসরকারী হিসার অনুযায়ী প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে।

গত ৫ দিনে বিভিন্ন সময় নওগাঁ সদর, পত্নীতলা, রাণীনগর, মান্দা ও আত্রাই উপজেলার ২০টি স্থানে আত্রাই ও ছোট যমুনার বন্যা নিয়ন্ত্রন ও ভেরী বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে ওইসব অঞ্চল প্লাবিত হয়। এখনো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। জেলা সদরের সাথে আত্রাই উপজেলার ও নাটোর জেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ এখনো বন্ধ রয়েছে।  বন্যার পানিতে নওগাঁর ৯টি উপজেলার হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে এবং কয়েক হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।

এদিকে নওগাঁ শহরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদীর টাউন প্রটেকশন ফ্লাড ওয়ালের বিভিন্ন আউটলিট দিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পুরাতন কালেকটরেট ভবন চত্বর. জেলা প্রশাসকের বাস ভাবন, পুলিশ সুপারের বাসভবন, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, জেলা জজ বাসভবন, আলুপট্টি, সুপারিপট্টি, ডাবপট্টি, বিহারী কলোনী, নাপিত পাড়া, উকিল পাড়া, কালীতলা, পার-নওগাঁ শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে যে বন্যার পানি প্রবেশ করেছিল তা কমতে শুরু করেছে।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক ড. আমিনুর রহমান জানান, ত্রানের চাল ও নগদ অর্থ প্রদানের পরিমান বাড়ানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ২০০ মেট্রিক টন চাল ও প্রায় ৮ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। যা বিতরণ চলছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলো ৪৫ টি আশ্রায় শিবির খোলা হয়েছে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২ লাখ ৪৩ হাজার ১ শত জন মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলী জমির পরিমান ৪৯৬৮৭ হেক্টর। বন্যা কবলিত এলাকা গুলো মেডিক্যাল টিম গুলো চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। তবে গোবাদী পশু খাদ্যোর চরম সংকট দেখা দিয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই