তারিখ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় আ’লীগ নেতার ইট ভাটার জন্য সরকারী ব্রীজ নির্মাণ

ভালুকায় আ’লীগ নেতার ইট ভাটার জন্য সরকারী ব্রীজ নির্মাণ
[ভালুকা ডট কম : ২০ মার্চ]
ভালুকা উপজেলার বিরুনীয়া ইউনিয়নের বাইরপাথার গ্রামের লাঙ্গলহাতা এলাকায় ভালুকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আ’লীগ নেতা শিহাব আমীন খানের নির্মাণাধিন একটি ইটভাটার জন্য সরকারী ব্যয়ে ভালুকা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একটি ব্রীজ নির্মাণ করে দিলেন। ব্রীজটির অপর প্রান্তে জলাশয় ছাড়া চলাচলের কোন রাস্তা বা ২ কিলোমিটারের মাঝে কোন বসত বাড়ির অস্থিত্ব নেই।

সুত্রে জানাযায়,ভালুকা বিরুনীয়া সড়কের বাহিরপাথার গ্রামের মরা গাংগের পাশে লাঙ্গলহাতা এলাকায়  দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের ২০১৬-১৭অর্থ বছরের অর্থায়নে লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ফুট দৈর্ঘ ও ১৪ফুট প্রস্থ একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রীজটি নির্মাণ ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০লাখ টাকা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রীজের উত্তর পাশে ভালুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিহাব আমীন খানের মালিকানাধীন ফসলী জমিতে ইট ভাটার নির্মাণের জন্য ভ্যাকু দিয়ে মাটি খোঁড়া হচ্ছে। ব্রীজের দক্ষিণ পাশে ভালুকা বিরুনীয়া সড়ক আর অপর পাশে জলাশয় ও বোরো ধানের ক্ষেত। পূর্ব- পশ্চিম  ও উত্তর দিকে ২কিলোমিটারের মাঝে কোন বসত ঘর চোখে পড়েনি। বর্ষার সময় বিশাল জলশায় (বাইরপাথার) পানিতে থৈ থৈ করে। বিশাল জলাশয় বাইরপাথারের নাম অনুসার এই গ্রামের নাম রাখা হয়েছে বাইরপাথার।

স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজাকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ভালুকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিহাব আমীন খান শুধু তার নিজস্ব ইটভাটার জন্যেই সরকারী ব্যয়ে ব্রীজটি নির্মাণ করিয়েছেন। ব্রীজের উত্তর পাশে বিশাল জলাশয়, অদূর ভবিষ্যতে ও এ বিশাল জলাশয়ের মাঝখান দিয়ে রাস্তা হওয়ারও কোন সম্ভবনা নেই। বিরুনীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানেরও এ ব্রীজ নির্মাণে কোন আগ্রহ নেই। যেখানে মানুষের কোন যাতায়ত নেই সেখানে সরকারী ব্যয়ে কেন এ ব্রীজ নির্মাণ করা হলো এ প্রশ্ন স্থানীয় জনসাধারণের।

বিরুনীয়া ইউপি চেয়ারম্যান রেদুয়ান সারোয়ার রাব্বানী বলেন, বিলের মাঝে কেন ব্রীজটি পিআইও সাহেব নির্মাণ করেছেন তা তিনিই ভাল জানেন। যেখানে নেই কোনো রাস্তা, নেই মানুষের বাসবাস ও চলাচল, পাথারের এক পাশে কেন এ ব্রীজ? আমার ইউনিয়নের এর চাইতে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা রয়েছে যেখানে একটি ব্রীজের জন্য জনগণ প্রতিনিয়তই কষ্ট করছেন।৬নং ভালুকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিহাব আমীন বলেন, আমি পিআইও সাহেবকে কোন টাকা পয়সা দেইনি। সরকারী টাকায় এ ব্রীজ হয়েছে এতে জনগণ উপকৃত হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক রেজা বলেন, ব্রীজ নির্মাণের পূর্বে এ বিষয়টি আমাকে বললে কিছু করতে পারতাম এখন তো ব্রীজ নির্মাণ হয়ে গেছে। জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, এ ব্রীজটির স্থান নির্ধারন শুধু পিআইও সাহেব একা করেননি স্থানীয় জন প্রতিনিধি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও এমপি মহোদয়ের সমন্বয়ে তাঁদের নির্ধারিত স্থানেই ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই