তারিখ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সখীপুরে ১৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

সখীপুরে ১৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন ঝুঁকিপূর্ণ শিশু ও প্রসূতি স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত
[ভালুকা ডট কম : ১৭ জুলাই]
দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার ৩৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ১৭টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ভবনের দেয়াল ধসে পড়ায় ওইসব ক্লিনিকের পরিচালকরা (সিএইচসিপি) অন্যত্র ঘর ভাড়া নিয়ে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্য ১৪টি ক্লিনিকের পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীরা ঝুঁকি নিয়েই রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন। ওইসব ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা রোগীরা আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রসূতি ও শিশুদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান।

সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায় , উপজেলার ৩৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকের একটিতেও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। ১৭টি ক্লিনিকের দেয়ালে ফাটল, মেঝে দেবে গেছে, ছাদের পলেস্তরা উঠে খসে পড়েছে। অধিকাংশ ক্লিনিকের টিওবয়েলের মাথা চুরি হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা না থাকায় কর্মরত কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডারদের (সিএইচসিপি) গরমে চরম কষ্টে সেবা দিতে হচ্ছে। এছাড়া তাদের জন্যে দেওয়া ল্যাপটপগুলোও ক্লিনিকে ব্যবহার  না হয়ে নষ্ট হয়ে পড়ছে। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি), একজন স্বাস্থ্যকর্মী ও একজন পরিবার কল্যাণ সহকারী সকাল নয়টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত প্রসূতি ও শিশুদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেন। বিশেষ করে প্রসূতিদের প্রসবের আগে ও পরের করণীয় বিষয়ে তাঁরা বিভিন্ন পরামর্শ ও সেবা দিয়ে থাকেন। এতে ঘরের কাছেই প্রসূতি মা ও শিশুরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং স্বাস্থ্যসেবা পায়।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে উপজেলার প্রতিমা বংকী কমিউনিটি ক্লিনিক ও আতিয়াপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের দেয়ালে অসংখ্য ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাদের পলেস্তরা খসে পড়েছে, টিওবয়েল অকেজো এবং বাথরুমটিও দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত।

স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা প্রসূতি মরিয়ম বেগম জানান ,ভাঙা বিল্ডিংয়ে আসতে খুব ভয় করে। তারপরও জীবনের ঝুকি নিয়ে চিকিৎসা নিতে আমাদের আসতে হয়। এ ব্যাপারে আতিয়াপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি আবু হানিফ বলেন, বৃষ্টি হলে ভবনের ছাদ বেয়ে পানি পড়ে। টিওবয়েলের মাথা চুরি হয়ে গেছে পানি ও বাথরুমের ব্যবস্থা না থাকায় রোগীসহ আমরা খুব অসুবিধায় আছি।

ভবন ভেঙে পড়ায় ঘর ভাড়া করে সেবা দিচ্ছেন মহানন্দপুর, বেড়বা বাড়ী ও রতনপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। মহানন্দপুরের প্রোভাইডার মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, দেয়ালের অবস্থা নড়বড়ে, ভেঙে পড়ার ভয়ে রোগীরা ভেতরে বসে না। তাই অন্য একটি টিনের ঘর ভাড়া নিয়ে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।বেড়বাড়ী  গ্রামের প্রসূতি মর্জিনা আক্তার বলেন,ওই ঘরডা যহন তহন ভাইঙা পড়বার পারে। এই জুন্যে ডাক্তর সাহেব অন্য একটি ঘর ভাড়া নিছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ঝঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর তালিকা করে জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এইচইডি) পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই ভবনগুলো সংস্কার করা হবে।

জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এইচইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মাহবুব বলেন, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো সংস্কার বা পুন:নির্মানের জন্যে তালিকা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই