তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নান্দাইলের এক পুঙ্গু পরিবার সহযোগীতা চান প্রধানমন্ত্রীর

নান্দাইলের এক পুঙ্গু পরিবার সহযোগীতা চান প্রধানমন্ত্রীর
[ভালুকা ডট কম : ২০ জুন]
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট লীলা খেলায় নিয়তির নির্মম পরিহাসে ২০ বৎসর যাবত অসহায়ত্ব মানবেতর জীবন-যাপন করছে এক দরিদ্র পরিবার। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের মা-ছেলে ৪ জন পুঙ্গুত্ব জীবন নিয়ে বহু কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সহযোগীতা চান পুঙ্গুত্ব পরিবার।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, শেরপুর গ্রামের আব্দুল বারিকের স্ত্রী সফুরা খাতুন (৫০) এবং তার তিন পুত্র আবু কালাম (৩৫), রবি ইসলাম (৩২) ও রতন মিয়া (২৬) হামাগুড়ি দিয়ে বাড়ির উঠান থেকে ঘর পর্যন্ত কোনরকম চলাফেরা করতে পারে। চেহেরার রং কালচে বর্ণের, জীর্ণশীর্ণ ও কঙ্কালসার তাদের দেহ। ঠিকমতো কথা বলতে পারেনা। তাদের একজন বাক শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। পুষ্টি জাতীয় খাবার তো দূরের কথা তিন বেলা দুমুঠো ভাত ঠিকমত তাদের কপালে জুটেনা। স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের মতো চলাফেরা করতে স্বাদ আল্লাদ থাকলেও নেই শরীর ও অর্থের সামর্থ্য। অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসা করতে না পারার কারনে দিন দিন দেহ নিস্তেজ ও হাড্ডিসার হয়ে যাচ্ছে। বাড়িতে একটি টিনের ভাঙ্গা-ছোড়া দুচালা ঘরে কোনরকম দিন কাটাতো।

স্থানীয় এক ব্যাক্তির উদ্দ্যোগে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ায় উক্ত ঘরটিতে তাদের ছোট বোন স্বামী পরিত্যক্ত আছমা’র ১ ছেলেকে নিয়ে তারা অবস্থান করছে। আছমা অন্যের বাড়িতে কাজ করে ও পুঙ্গুত্ব মা-ভাইদেরকে দেখাশুনা করে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনের ভরসা সফুরার স্বামী আব্দুল বারিক (৬৪)। তিনি দিন মজুরের কাজ করেন, আবার কাজ না পেলে পুঙ্গু সন্তানকে নিয়ে ভিক্ষা করে খাবার যোগান।

স্থানীয় লোকজন ও আব্দুল বারিক জানান, তার সন্তানরা বাল্যকালে অন্যদের মতো ভালোই ছিলেন। প্রায় ২০ বৎসর পূর্বে মেঝো সন্তান রবি ইসলামের একধরনের জ্বর হয়েছিল, তখন থেকেই ধীরে ধীরে তার শরীর রুগ্ন ও পুঙ্গু হয়ে যায়।স্ত্রী সফুরা খাতুন জানান, কবিরাজি সহ বিভিন্ন চিকিৎসা করিয়েও ভালো হয়নি। একের পর এক তার পুত্র আবু কালাম ও রতন মিয়া সহ নিজেও একইভাবে আক্রান্ত হয়ে পুঙ্গু হয়ে যান।

ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মহসিন আহম্মদ জানান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন ভুইয়া মিল্টন ও বর্তমান ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়ার মাধ্যমে উক্ত পরিবার দুটি পুঙ্গু ভাতা কার্ড পেয়েছেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আলী আজগর শাহরিয়াদ জানান, উক্ত পরিবারের জন্য একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তবে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব উদ্দিন মন্ডল বলেন, বিষয়টি তার নজরে আসেনি, তবে সরকারের দৃষ্টি কামনা সহ সকলের সহযোগীতা পেলে হয়তো পরিবারের কষ্ট লাঘব হবে।#  



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

পাঠক মতামত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই