তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নান্দাইলে সধবারা পাচ্ছেন বিধবা ভাতা

নান্দাইলে সধবারা পাচ্ছেন বিধবা ভাতা,ভুলের দায় নিচ্ছেন না জনপ্রতিনিধিরা
[ভালুকা ডট কম : ১৬ ফেব্রুয়ারী]
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নে মা ও মেয়ের স্বামী থাকলেও তাঁদের মৃত দেখিয়ে ‘দুস্থ, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা’র ভাতার তালিকায় নিজেদের নাম অন্তরভূক্ত করেছেন। এরপর ২০ বছর ধরে নিয়মিত ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করছেন তাঁরা। এ ধরনের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।

তবে স্থানীয় মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, যখন তাঁদের কার্ড হয়েছে তখন তিনি দায়িত্বে ছিলেন না। অন্যদিকে ইউপি সদস্যরা এ ব্যাপারে একে অন্যকে দোষারোপ করছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, অভিযুক্ত দুই ভাতাভোগী হচ্ছেন মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের দত্তপুর গ্রামের আব্দুল বারেকের স্ত্রী হাজেরা খাতুন ওরফে মজিদা খাতুন ও তাঁর মেয়ে বেদেনা আক্তার।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৩ সালে তাঁদের ভাতার ব্যবস্থা করে দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ারা খাতুন ও আব্দুল মোমেন। এর পর থেকেই কোনো রকম বাধা-বিপত্তি ছাড়াই নির্বিঘ্নে ভাতা তুলছেন তাঁরা। অথচ একই গ্রামের মো. ইসমাইলের স্ত্রী ও মেয়ে বিধবা হলেও তাঁদের কোনো ব্যবস্থা হয়নি। এ রকম অনেক বিধবাই সব ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন। তাঁদের চাপা ক্ষোভ প্রকাশের মাধ্যমে বের হয়ে আসে এসব ভুয়া উপকারভোগীর নাম।

উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের দত্তপুর গ্রামে গিয়ে জানা যায়, সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল হক আকন্দের বাড়ি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন সংরক্ষিত নারী আসনের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর বাড়ি লাগোয়া কৃষক আব্দুল বারেকের বাড়ি। ইউপি সদস্য আনোয়ারা খাতুনের সময়ই আব্দুল বারেকের স্ত্রী ও মেয়ের নামে কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়।

জানাযায়, কৃষক আব্দুল বারেকের মেয়ে বেদেনা খাতুনকে বিয়ে দেওয়া হয় পাশের কাদিরপুর গ্রামের তাইজুল ইসলামের সঙ্গে। জীবিকার তাগিদে তাইজুল সিলেটে থাকেন। অন্যদিকে বেদেনা থাকেন ঢাকায়। তিনি সেখানে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায় বারেকের স্ত্রী হাজেরা খাতুন ওরফে মজিদাকে। জানতে চাইলে তিনি বলেন,মহিলা সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য আনোয়ারা আমাদের কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কী কার্ড জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিধবা।’ স্বামী থাকা সত্ত্বেও বিধবা ভাতা কিভাবে পান। এমন প্রশ্নের জবাবে হাজেরা খাতুন বলেন, স্বামী আমার খোঁজ খবর নেয় না।

অন্যদিকে মেয়ের প্রসঙ্গ তুললে তিনি বলেন,তার স্বামী তো কোনো খোঁজখবর নেয় না। ভাত-কাপড় দেয় না। একই ওয়ার্ডের সাবেক নারী সদস্য আনোয়ারা খাতুন কার্ড দুটি দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,শ্বাশুড়ি মারা যাওয়ার পর তাঁর কার্ড বেদেনাকে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে স্বামী অসুস্থ হওয়ায় বারেকের স্ত্রীকে কার্ড দেওয়া হয়েছে।

ইউপি সদস্য আব্দুল মোমেন জানান, তিনি ওই কার্ড সম্পর্কে কিছুই জানেন না। এখন খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন। এ ব্যাপারে মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, তাঁর সময়ে এ কার্ড হয়নি। এখনই তিনি বিষয়টি জানলেন। নান্দাইল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ইনসান আলী জানান, বিধবা ভাতার কার্ড বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার পর এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ভুয়াদের বাতিল করে প্রকৃতদের মধ্যে এসব কার্ড প্রতিস্থাপন করা হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই