তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুরে যৌতুক দাবীতে গৃহবধুর আঙ্গুল কেটে বিচ্ছিন্ন,পাষন্ড স্বামী-শ্বাশুড়ী গ্রেফতার

গৌরীপুরে যৌতুক দাবীতে গৃহবধুর আঙ্গুল কেটে বিচ্ছিন্ন,পাষন্ড স্বামী-শ্বাশুড়ী গ্রেফতার
[ভালুকা ডট কম : ৩১ জুলাই]
যৌতুকের দাবীতে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে এক গৃহবধুকে বেধরক মারপিট করে তার ডান হাতের আঙ্গুল কেটে বিছিন্ন করে দিয়েছে পাষন্ড স্বামী-শ্বাশুড়ী শ্বশুড়। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের  ধুরুয়া গ্রামে। এ নারী নির্যাতন ঘটনায় স্থানীয় থানা পুলিশ পাষন্ড স্বামী  ও র্দজাল শ্বাশুড়ীকে গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে পাঠিয়েছে।  

প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলা সুত্রে জানা গেছে ৯ বছর আগে উল্লেখিত উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের  ধুরুয়া গ্রামের  মোঃ হাবিবুল্লাহ’র  ছেলে  মোঃ উজ্জল মিয়ার সাথে ইসলামী মতে একই ইউনিয়নের পুম্বাইল গ্রামের মোঃ তাজিম উদ্দিনের একমাত্র কন্যা মোসাঃ রোজিনা আক্তারের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই  স্বামী উজ্জল মিয়া,শ্বশুড় হাবিবুল্লাহ ও শ্বাশুড়ী সাহেরা খাতুন যৌতুকের দাবী নিয়ে গৃহবধু রোজিনার উপর নানাবিধ নিপীড়ন-নির্যাতন শুরু করে। মেয়ের উপর নির্যাতনের খবরে হতদরিদ্র পিতা মোঃ তামিজ উদ্দিন মেয়ের সংসারে সুখ-শান্তির জন্য কষ্টে-সৃষ্টে বেশ কয়েকবার নগদ টাকা তুলে দিয়েছে জামাই উজ্জলের হাতে।  এর পরও গৃহবধু রোজিনাকে তার পিত্রালয়ে যাওয়া বন্ধ করাসহ সময়ে-অসময়ে তার উপর নানাবিধ মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন বন্ধ হয়নি। এরি মাঝে রোজিনার কোল জোড়ে  আসে  এক পুত্র সন্তান। বর্তমানে তার বয়স ৫ বছর। নাম আল-আমিন। রোজিনা এ পুত্র সন্তানের মুখ চেয়ে স্বামী-শ্বশুড়- শ্বাশুড়ীর সকল নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করে স্বামীর বাড়ীতেই বসবাস করে আসছিল। কিন্তু ঈদের দিন জামাত শেষে গৃহবধু রোজিনা তার পিতার বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলতেই স্বামী শ্বাশুড়ীর সাথে শুরু হয় তমুল ঝগড়া।  ঝগড়ার একপর্য়ায়ে স্বামী উজ্জল, শ্বাশুড়ী সাহেরা খাতুন  ও বাড়ীর অন্যান্যরা গৃহবধু রোজিনাকে দড়ি দিয়ে আষ্টে-পৃষ্টে বেঁধে তালাবন্ধ ঘরে আটকে রেখে বেধরক মারপিট করে। এক পর্যায়ে স্বামীর ক্ষোব্ধ পরিবার হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলী দিয়ে  আঞ্চলিক ভাষায় তাদের ‘কাচকলা’  প্রদর্শনের দায়ে কাঁচি দিয়ে  গৃহবধুর ডান হাতের সেই বৃদ্ধাঙ্গুলীটি গোড়া থেকে কেটে বিছিন্ন করে জঙ্গলে ফেলে দেয়।

এ  কাটা  বিছিন্ন আঙ্গুলটি পরবর্তীতে  আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। ব্যপক যন্ত্রনাবহুল আহত গৃহবধু রোজিনার আর্ত চিৎকার শুনে আশ-পাশের লোকজন ছুটে এসে আহত গৃহবধুকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় ও নির্যাতনকারী স্বামী উজ্ঝল, শ্বাশুড়ী সাহেরা খাতুন ও শ্বশুড় হাবিবুল্লাহকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। কিন্তু ওইদিন  রাতেই মামলার রেকর্ডভুক্ত আসামী শ্বশুড় হাবিবুল্লাহকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ করেছে বাদী পক্ষ।

এ ব্যপারে গৌরীপুর থানায় নির্যাতিত গৃহবধুর পিতার দায়ের করা  শিশু ও নারী নির্যাতন আইন ২০০০ (সংশোধীত) ২০০৩ সনের ১১ (খ)/৩০ ধারায় একটি মামলা রের্কড করা হয়েছে। মামলা নং-২৪ তাং ৩০/০৭/১৪।




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই