তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

যশোর শহরে প্রবেশ করতে চাঁদা দেওয়া আইনিতে পরিণত হয়েছে

যশোর শহরে প্রবেশ করতে চাঁদা দেওয়া আইনিতে পরিণত হয়েছে
[ভালুকা ডট কম : ২০ মার্চ]
যশোর শহরে প্রবেশের জন্য এখন চাঁদা দেওয়া বাধ্যবাধকতা হয়ে দাড়িয়েছে। শহরের প্রবেশের আটটি স্থান থেকে এক চাঁদাবাজের নেতৃত্বে চাঁদাবাজি চলছে। প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এই চাঁদাবাজ এতই শক্তিশালী প্রশাসনের চোখের সামনে চাঁদা তুলেও অজ্ঞাত কারণে নিরব ভূমিকা পালন করে পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই চাঁদা দেওয়া যেন আইনী পরিণত হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতি (২২৭) এর নেতা কামরুল ইসলাম শ্রমিক ইউনিয়নকে ব্যবহার করে যশোর শহরের প্রবেশের ৮টি স্থানে লোক দিয়ে চাঁদাবাজিতে নেমেছেন। এরমধ্যে রয়েছে, শহরের মুড়লি মোড়, মুড়লি থেকে বাসটার্মিনালে যাওয়ার পথে রেলগেট, মনিহার এলাকার খুলনা অভিমুখে যাওয়ার পথে কোল্ড স্টোরেজের সামনে, নীলগঞ্জসহ আটটি স্থানে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাঁদাবাজি চলে। তিনি বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন কামরুলের ভাড়াটিয়া লোকেরা।

প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যে সব নছিমন, করিমন, আলমসাধু, ইজিবাইক শহরে চলাচল করে তাদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হয়। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা তোলা হয়। অথচ প্রশাসনের লোকজন বিষয়টি জানলেও অজ্ঞাত কারণে এই চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

চাঁদাবাজি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে কামরুল ইসলাম বলেন, যারা টাকা তোলে তারা বেকার যুবক। তাদের একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতেই এই টাকা তোলা হয়।তিনি আরো বলেন, অনেক শিক্ষার্থী পায়। মসজিদে দেওয়া হয়। এসবের জন্য টাকা তোলা হয়। পরে তিনি এ প্রতিবেদককে তার অফিসে চা পান করার আমন্ত্রণ জানান।

প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, কামরুল এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ শ্রমিক সংগঠন ২২৭ এর একজন নির্বাচিত নেতা। তাকে আটক করা হলেই শ্রমিক সংগঠনগুলো রাস্তা আটকিয়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে দেবে। সাধারণ মানুষদেরকে জিম্মি করে শ্রমিক সংগঠনগুলো তাকে ছাড়িয়ে নিবে। যে কারণে এসব দুর্বৃত্তরা সব সময় ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায়।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতি (২২৭) এর সভাপতি মামুনুর রশিদ বাচ্চু বলেন, চাঁদাবাজী সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। কামরুল ঠিক মত অফিসে আসে না। কেউ চাঁদাবাজির বিষয়ে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ করে না। অভিযোগ পেলে তারপর জানা যায়। তখন কিছু বলা যায়।

প্রশাসনের চোখের সামনে চাঁদাবাজি বিষয়টি জানতে কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, বিষয়টি তো আমার জানা নেই। আমি খোজ খবর নিচ্ছি। এরপর চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই