তারিখ : ০৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকার মোহাম্মদীয়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ভালুকার মোহাম্মদীয়া মডেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ২২ মে]
বরাবর,
    সিভিল সার্জন,
    জেলা-ময়মনসিংহ।
বিষয় : ভালুকায় অবস্থিত মোহাম্মদীয়া মডেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

জনাব,
    সম্মান পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী মোঃ রিফাত হাসান সজিব (২৭), পিতা-মোঃ সবুজ মিয়া, সাং-খারুয়ালী, ০৬ নং ভালুকা ইউপি, থানা-ভালুকা, জেলা-ময়মনসিংহ আপনার হাজির হইয়া এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, বিবাদী ১। ডাঃ রোকাইয়া আক্তার (৪০), স্বামী-মোঃ আঃ রাজ্জাক, স্থায়ী সাং-কাচিনা, পদবী-গাইনী, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ সার্জন, (ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত), ২। আব্দুল্লাহ আল নোমান (৩৫), পিতা-অজ্ঞাত, পদবী-ডাঃ, আল্ট্রাসনোগ্রাম, উভয় বর্তমান সাং-মোহাম্মদীয়া মডেল হাসপাতাল, সালাউদ্দিন প্লাজা, ভালুকা পৌরসভা, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহা-সড়ক সংলগ্ন, থানা-ভালুকা, জেলা-ময়মনসিংহ। আমার স্ত্রী মোছাঃ রাবেয়া আক্তার রেভা (১৮) প্রায় ০১ মাস ১৫ দিনের গর্ভবতী। উক্ত ১নং বিবাদী ভালুকা পৌরসভাধীন সালাউদ্দিন প্লাজায় মোহাম্মদীয়া মডেল হাসপাতালের গাইনী, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ সার্জন  ডাক্তার। ইং ১৯/০৪/২০২২ তারিখ আমার স্ত্রীর প্রচন্ড পেট ব্যথা শুরু হলে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়া ভালুকা পৌরসভা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহা-সড়ক সংলগ্ন মোহাম্মদীয়া মডেল হাসপাতালে ১নং বিবাদীর কাছে নিয়া যাই। ১নং বিবাদী আমার স্ত্রীর সাথে কথা বলিয়া আমার স্ত্রীকে ২নং বিবাদীর কাছে একই প্রতিষ্ঠানে আল্ট্রাসনোগ্রাম করানোর জন্য পাঠায়। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়া ২নং বিবাদীর কাছে গিয়া আল্ট্রা করাইলে ২নং বিবাদী আমার স্ত্রীর রিপোর্টে বাচ্চা পেটে নাই এবং তলপেটে ইনফেকশন হইছে জানাইয়া ১নং বিবাদীর কাছে রিপোর্ট দিয়া পাঠায়। পরবর্তীতে ১নং বিবাদী আমার স্ত্রীর পেটে বাচ্চা নাই ও তলপেটে ইনফেকশন হইছে জানাইয়া চিকিৎসাপত্র প্রদান করেন। আমার স্ত্রী ১নং বিবাদীর দেওয়া চিকিৎসাপত্র দেখাইয়া ঔষধ ক্রয় করিয়া উক্ত ঔষধ খাওয়ার পর হইতে আমার স্ত্রীর পেটের ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হয় এবং প্রচন্ড রকমের রক্তক্ষরণ হইতে থাকে। আমি কোন উপায় না দেখিয়া আমার স্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ময়মনসিংহ পপুলার হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার স্ত্রীকে দেখিয়া ও বিভিন্ন ধরনের টেষ্ট করিয়া জানতে পারি যে, আমার স্ত্রীর পেটে ০১ মাস ১৫ দিনের বাচ্চা ছিল এবং উক্ত বিবাদীদ্বয়ের ভূল চিকিৎসায় আমার স্ত্রী ০১ মাস ১৫ দিনের বাচ্চার গর্ভপাত হয়েছে। বর্তমানে আমার স্ত্রী ময়মনসিংহ লিবার্টি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। উক্ত ঘটনার বিষয়ে আমার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে আলোচনা করিয়া স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনদের পরামর্শ নিয়া আমার স্ত্রী কিছুটা সুস্থ্য হওয়ায় আপনার নিকট হাজির হইয়া  অভিযোগ দায়ের করিলাম।
                 অতএব, মহোদ্বয়ের নিকট আকুল আবেদন এই যে, উক্ত ঘটনার বিষয়ে তদন্ত পূর্বক বিবাদীদ্বয়ের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে সদয় মর্জি হয়।  

* উল্লেখ্য ডাঃ রোকাইয়া আক্তার ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত থাকায় সরকারী হাসপাতাল থেকে ফুসলিয়ে রোগিদের কে তাহার মোহাম্মদীয়া প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে বাধ্য করেন এবং পূর্বে বিভিন্ন সময়ে তাহার হাসপাতালে মারা যাওয়া কয়েকজন রোগির বর্ণনা বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদে উল্লেখ আছে। এছাড়াও রোগিদেরকে অহেতুক ভাবে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করাতে বাধ্য করেন। মোহাম্মদীয়া প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক এর লাইসেন্স টি সঠিক কিনা তা সন্দেহাতীত।                                                                 
                                                                                          
 বিনীত
(মোঃ রিফাত হাসান সজিব)
 মোবা-০১৭১৪-৪৩৮৮৭৫
সংযুক্তি:চিকিৎসার সনদপত্র, পরীক্ষা-নীরিক্ষার কাগজপত্র, থানার অভিযোগপত্র ও বিভিন্ন পত্রিকার কাটিং।





সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই