তারিখ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকা বিএনপি নেতা বাচ্চুর বিরুদ্ধে এক ঘেয়েমি সিদ্ধান্তের অভিযোগ

তৃণমুলের মতামত না নিয়েই প্রার্থীতা চুড়ান্ত করার পাঁয়তারা
ভালুকা বিএনপি’র ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চুর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা এবং এক ঘেয়েমি সিদ্ধান্তের অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ১৯ ডিসেম্বর]
ভালুকা বিএনপি’র নেতা ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চুর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা এবং এক ঘেয়েমি সিদ্ধান্তে তৃণমুলের মতামত না নিয়েই পৌর বিএনপির মেয়র পদে তার ব্যক্তিগত পছন্দের প্রার্থী চুড়ান্ত করার পাঁয়তারা করেপ্রার্থী চুড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। শুক্রবার বিকাল ৪টার সময় তার বাসায় পৌর বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সদস্যদের নিয়ে মেয়র প্রার্থী চুড়ান্ত করার জন্য সভা আহবান করেন।  ৭১সদস্য কার্য়করি কমিটির কুরাম না হওয়ার সত্বেও তার পছন্দের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করার পাঁয়তারা করছেন।

জানাযায়, তৃতীয় দাপে ৩০জানুয়ারী ২০২১ইং তারিখে ভালুকা পৌর সভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই লক্ষ্যে শুক্রবার বিকালে বিলুপ্ত ভালুকা পৌর বিএনপির কার্য়করি কমিটির যুগ্ন সম্পাদক এম,এ খালেক ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজমল হোসেন ফারুক হাইস্কুল,রোডে ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চুর বাসায় মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত করার জন্য সভা আহবান করেন। সভা আহবান করার পর সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব হাতেম খান ওই সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলে এম,এ খালেক তাকে সভায় উপস্থিত না থাকার জন্য বলেন। আলহাজ্ব হাতেম খানকে সভায় উপস্থিত না থাকার জন্য বিষয়টি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে পুরো পৌরসভা জুড়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের মাঝে ছাড়িয়ে পড়লে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ক্ষোভের কারণে শুক্রবার পৌর বিএনপির কার্যকরি কমিটির সভায় ৭১সদস্যের মাঝে মাত্র ১১জন উপস্থিত হয়।অবস্থা বেগতিক ও কুরাম সংঞ্চকট দেখে ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু অনুপস্থিত সদস্যদেরকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন। এবং বেশ কয়েক জনের বাড়িতে প্রাইভেটকার ,মোটর সাইকেল পাঠিয়ে সভায় উপস্থিত করার চেষ্টা করেন এবং রেজিলেশন বহিতে স্বাক্ষর আনেন। বিকাল ৪টার দিকে সভায় আহবান করার পর কুরাম না হওয়ার খবর পেয়ে রাত ৮টা দিকে সভার সভাপতি আনোয়ার হোসেন  বাদলের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি সভার কুরামের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি।

আসন্ন ভালুকা পৌর নির্বাচনে বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে দুজনে নাম শোনা যাচ্ছে। এ জন হলো গত পৌর নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী আলহাজ্ব হাতেম খান  এবং অপর জন আহসান উল্যাহ খান রুবেল। পৌর নির্বাচনে আলহাজ্ব হাতেম খান সব দলের মাঝে একজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার মতো একজন প্রার্থী। কারণ তিনি বিগত প্রায় ১০/১২বছর যাবত ভালুকা পৌর সভার ভোটারদের মাঝে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে শাড়ি,লঙ্গী,চাল,ডাল,তেল,চিনি,সেমাইসহ বিভিন্ন সামগ্রি বিতরন করে আসছেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন মসজিদ মাদরাসার ও ধর্মী প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ভাবে দান খয়রাত করে আসছেন। আর আহসান উল্যাহ খান রুবেল গত ১৫/২০দিন পূর্বে প্রার্থীতা প্রকাশ করে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্যানা লাগিয়েছেন। তাকে এখনো পর্যন্ত অনেক  এলাকায় গণসংযোগ করতে দেখা যায়নি। গত কয়েক দিন পূর্বে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে মত বিনিময় করার কথা বলে ওই মত বিনিময় সভা করেন নি।

গত ২০১৪-সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় বিএনপি থেকে আলহাজ্ব মোর্শেদ আলম ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করেন। ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু জেলে থেকে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাদেরকে জেলা খানায় খবর দিয়ে নিয়ে মোর্শেদ আলমের বিরুদ্ধে নির্বাচন করার জন্য তার ভাই সদ্য প্রয়াত আবুল বাশার বেপারিকে দিয়ে মাঠে নামিয়ে দেন। বাচ্চুর নির্দেশ মেনে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতারা পর দিন গাড়ির বহন নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রচারাভিযান চালানোর সময় বিকেল বেলায় খবর আসে উপজেলা ও পৌর বিএনপির তৎকালীন বেশ কয়েকজনকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে । বিভিন্ন অভিয়োগ করে একাধীক নেতা কর্মীরা বলেন, বাচ্চুর জন্যই ওই বিএনপির নেতার বলির পাঠা হয়ে ছিলেন।

ভালুকার বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ার মুল কারণ বাচ্চু স্বেচ্ছাচারিতা এবং এক ঘেয়েমি সিদ্ধান্ত ও দলীয় নেতা কর্মীদের মূল্যায় না করা। তার সিদ্ধান্তের জন্য উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি এক যুগেরও অধিক সময় ধরে ঝুলে আছে। কমিটি দেখিয়ে অনেক ছাত্রকে দাদা বানিয়ে ফেলেছেন।

বিএনপি কর্মী শামছুল হক জানান,করোনা কালীন সময় বাচ্চু সাহেব যখন বাসা থেকে বের হননি, সেই সময় আলহাজ্ব হাতেম খান পৌরসভার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে মানুষের মাঝে খাদ্য সহ বিভিন্ন সামগ্রি বিতরন করেন। যে সব বিএনপি নেতা আত্ন সম্মানের কারনে লাইন দাড়িয়ে উপহার সমগ্রি নিতে সংকুচবোধ করেছেন তিনি নিবির ভাবে খোঁজ নিয়ে গোপনে তাদের বাড়িতে উপহার সামগ্রি পৌছে দিয়েছেন।

গতকালকের সভার সভাপতি পৌর বিএনপি সাবেক সহ-সভাপতি  আনোয়ার হোসেন বাদল মিটিং চলাকালিন জানান, আজকের মিটিং কুরাম হচ্ছে কিনা এখই বলতে পাচ্ছি না। বাচ্চু সাহেব বক্তব্য দিচ্ছে। সভা শেষ হলে দলীয় সিদ্ধান্ত বলা যাবে।

আলহাজ্ব হাতেম খান ভালুকা ডট কম কে জানান,আমাকে এমএ খালেক গত বৃহস্পতিবার জানান,সম্ভাব্য প্রার্থীরা ওই মিটিং থাকতে পারবে না। প্রশ্ন হলো প্রার্থী সিলেশন কী এবারই প্রথম? খোজ নিয়ে জানা গেছে কুরাম সংকট সভায় সম্ভাব্য প্রার্থী আমান উল্যাহ খান রুবেল উপস্থিত আছেন। আমি থাকলে ক্ষতি কী ছিল। তৃণমুল থেকে আমাকে প্রার্থী হিসাবে চুড়ান্ত না করলেও আমি মেনে নিতাম। আমার সাথে প্রতিহিংসা করে সভায় উপস্থিত থাকতে দেয়নি। গত নির্বাচনে সকাল ১০টা পর্যন্ত ভোটে প্রায় সাড়ে ৪হাজার ভোট পেয়ে ছিলাম। এবার আমাকে দল থেকে মনোনয় দিলে সুষ্ঠু নির্বাচনে হলে আমি নিশ্চিত বিজয়ী হবো। নির্বাচনের জন্য  আমি বছরের পর বছর ধরে  মাঠ গোছিয়েছি।

ভালুকা পৌর বিএনপির সাবেক  যুগ্ন সম্পাদক এম,এ খালেক বলেন, হাতেম যেহেতু পৌর কমিটির সদস্যনা তাই তাকে রাখা হয়নি নিষেধ করা হয়নি। রুবেল পৌর কমিটির য়ুগ্ন সাধারন সম্পাদক ছিলেন এজন্য উপস্থিত ছিলেন প্রার্থীদের নিয়ে পরে বসা হবে।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির ডা:মাহাবুবর রহমান লিটনের ০১৭১৩০১৫৩৯০ মোবাইলে বারবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোন মন্তব্য নেয়া সম্বভ হয়নি ।#

 



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই