ভালুকা সীডষ্টোর-সখিপুর সড়ক এলজিইডি হতে স ও জ বিভাগে স্থানান্তরের দাবিতে মানব বন্ধন
[ভালুকা ডট কম : ১২ জুন]
১১ জুুন শুক্রবার সকাল ১১ টায় ভালুকার বাটাজোর বাজারে সীডষ্টোর-সখিপুর সড়ক দ্রুত সংস্কার ও এলজিইডি হতে সড়ক জনপথ বিভাগে স্থানান্তরের দাবিতে যৌথ খামারের উদ্যোগে এলকাবাসী প্রায় ১ ঘন্টা মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে।

মানব বন্ধন কর্মসূতচীতে অংশ নেয়া উপজেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি মোজাম্মেল হক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন সড়কটির এমনই বেহাল দশা একজন মুমূর্ষ রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তিনি জানান ঢাকা ময়মনসিংহ মহা সড়ক লাগুয়া ভালুকার সীডষ্টোর বাজার হতে কাচিনা, বাটাজোর বাজার, সখিপুর  হয়ে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিঃমিঃ রাস্তার সীডষ্টোর-বাটাজোর অংশ দীর্ঘদিন ধরে খানা খন্দে ভরে থাকায় কাদা পানি জমে যান চলাচল বিগ্নিত হচ্ছে। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে এলজিইডি হতে রাফায়েদ কন্সট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ নিয়ে সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করলেও এক বছরে ১০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়নি। এর পর প্রায় এক বছর যাবৎ কাজ বন্ধ সহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লাপাত্তা হয়েছেন। এ অবস্থায় সামান্য বৃষ্টি হলে সড়কের বিভিন্ন স্থানের বড় বড় গর্তে পানি জমে যানবাহন চলাচলে বিগ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। কাদা পানির গর্তে পরে যাত্রী নিয়ে প্রায়ই সিএনজি, অটো রিকসা উল্টে লোকজন আহত হচ্ছে। রাস্তার মাঝখানে মালবোঝাই ট্রাক বিকল হয়ে জন দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। বাটাজোর বাজারে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বিভিন্ন গ্রাম হতে কয়েক হাজার  গ্রাহক এ সড়কের বেহাল দশার জন্য চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দীর্ঘ এক দশক ধরে সড়কটির বেহাল দশার কারনে এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সময়মত বাজার জাত করতে না পারায় উপযুক্ত মূল্য হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। সড়ক সংস্কারের দাবীতে এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক আবেদন জানিয়েও কোন সুফল পাননি।

এলাকাবাসীর দাবী সীডষ্টোর-সখিপুর সড়কটি এলজিইডি হতে সড়ক ও জনপথ বিভাগে স্থানান্তর করে এটিকে আঞ্চলিক মহা সড়কে উন্নীত করা হউক। তিনি জানান এ এলাকায় বাটাজোর কলেজ ও কাচিনা ফাজিল মাদ্রাসা সহ ১০টি উচ্চ বিদ্যালয়, অসংখ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস,৫ টি ব্যাংক সহ বিভিন্ন শিল্প কারখানার কারনে এ সড়কটির গুরুত্ব অনেক। বর্তমানে এ সড়কে সম্পুর্ণ জীবনের ঝুকি নিয়ে কিছু কিছু অংশে মানূষ চলাচল করলেও সীডষ্টোর হতে সখিপুর পর্যন্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ওই সড়কে চলাচল কারী সিএনজি চালক খাজা মিয়া জানান সারা রাস্তা কাদা পানি আর খানা খন্দে ভরে থাকায় বৃষ্টির দিনে তারা কর্মহীন হয়ে স্ত্রী- সন্তান নিয়ে প্রায় সময় অনাহারে কাটাচ্ছেন ।

সিএনজি চালক আল আমিন জানান পেটের দায়ে তারা জীবনের ঝুকি নিয়ে কাদা পানির গর্ত ভরা রাস্তায় গাড়ী নিয়ে বের হয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। শ্রমিক নেতা মিন্টু মিয়া জানান এলজিইডি কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ সময় ধরে গুরুত্বপুর্ণ এ সড়কটির সংস্কার কাজের কোন অগ্রগতি সাধন করতে পারেননি তাই তাদের দাবী সড়কটি জনপথ বিভাগে স্থানান্তর করে অতি তারাতারি সংকার করার সুযোগ করে দিলে এলাকাবাসীর চলাচলে দুর্দশা লাগব হবে। এ ব্যাপারে তারা সরকারের সংলিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আসু হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন।#

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।