তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকার অবৈধ কয়লা কারখানায় হুমকির মুখে পরিবেশ

ভালুকার অবৈধ কয়লা কারখানায় হুমকির মুখে পরিবেশ  
[ভালুকা ডট কম : ০৯ জুলাই]
ভালুকা উপজেলার চামেয়াদী গ্রামে গড়ে উঠেছে কয়লা তৈরীর কারখানা ।বন থেকে কাঠ সংগ্রহ করে তা কাখানার চুল্লিতে পুঁড়িয়ে কয়লা বানানো হচ্ছে। সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘেঁষে লাইসেন্স বিহীন ৩টি কারখানায়  ১৬ টি  চুল্লি রয়েছে। বন ও আবাসিক এলাকায় গড়ে তুলা  কারখানার ধোঁয়ায় পরিবেশ হুমকির মুখে।  প্রতিকারের কোন উদ্যোগ নেই  প্রশাসনের।

সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের চামেয়াদী গ্রামে হোসেন আলী ও  আব্দুল কাদের মিয়া  ৩টি  কয়লার কারখানা স্থাপন করে  কাঠ পুঁড়িয়ে কয়লা বানানো হচ্ছে।  কারখানার চারদিকে  কাঠের স্তপ করে রাখা ।  বস্তা ভরা কয়লা। ১৫-২০ জন শ্রমিক  দিন-রাত কাঠ চুলায় পোড়ানোর কাজ করছে। ওইসব চুলা থেকে নির্গত ধোঁয়া গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে এসব এলাকার শিশু, বৃদ্ধ, গবাদি পশু-পাখি নানা রোগে আক্রান্ত  হচ্ছে।

কারখানার মালিক  হোসেন আলী ও আব্দুল কাদের মিয়া জানান,  আমরা বনের জমিতে কারখানার চুল্লী তৈরী করি নাই। পাবলিকের কাছ থেকে  জমি লীজ নিয়ে কারখানা স্থাপন করেছি।  আমরা বনের কাঠ পুড়ায় না। স-মিল গুলো  থেকে কাঠ সংগ্রহ করি।  তা পুড়িয়ে  কয়লা বানিয়ে বিক্রি করি। প্রতি বস্তায় ২৫-৩০ কেজি কয়লা ভরা যায়। প্রতি বস্তা কয়লার দাম ৩শ টাকা।  শ্রমিকের মজুরি ও কাঠ কেনা বাদে যা থাকে তা দিয়ে কোন মতে আমাদের  সংসার চলে যায়। কারখানার কোন লাইসেন্স করি নাই।

কারখনার পাশেই আবদুল জলিল মিয়ার বাড়ি। তিনি বলেন,দিনরাত কারাখানার ধোঁয়া ও গন্ধে বাড়িতে থাকা যায় না। পরিবারের প্রায় সকলেই কোন না কোন অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে কাশি তো আছেই।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ভালুকা আঞলিক শাখার সদশ্য সচিব সাংবাদিক কামরুল হাসান পাঠান কামাল  বলেন বনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকলসহ বন ও পরিবেশ বিধ্বংসী কোনো কারখানা গড়ে তোলা বেআইনী।আর যেভাবে বন ধংস করা হচ্ছে তাতে আমরা আর কিছুদিন পরে আর নির্মল অক্সিজেন পাবনা। তাই এই খেকুদের আইনের আওতায় আনা উচিৎ।

উথুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  বজলুর রহমান তালুকদার ( বাচ্চু)  বলেন, কয়লা তৈরীর কারখানা সম্পর্কে জানিনা। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।

উথুরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ হারু উর রশিদ  খান  বলেন, কারখানা গুলো বনের জমিতে গড়ে উঠেনি। পাবলিকের জমিতে করছে। আমি বনের লোক পাঠিয়ে খোঁজ নিয়েছি। দু একদিনের মধ্যে  আমিও যাব।যদি সরকারী সম্পদের ক্ষতি হয় তা হলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  সালমা খাতুন বলেন, এ রকম কারখানা হয়ে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#







   



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই