তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরে এক অসহায় পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা

রাণীনগরে এক অসহায় পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা,বেড়ায় অবরুদ্ধ ওই পরিবার
[ভালুকা ডট কম : ১৫ এপ্রিল]
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত বড়খোল গ্রামে স্কুলের নামে সামছুর রহমান নামের এক ব্যক্তির কবলাসূত্রে ক্রয়কৃত সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করাসহ তাদেরকে মারপিট করা হয়েছে। এছাড়াও বেড়া দিয়ে পুরো পরিবারকে বদ্ধ করে রাখা হয়েছে। অসহায় ভুক্তভ’গি পুলিশ তার অভিযোগ নেয়া তো দুরের কথা বরং তাকে হুমকী দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে  বড়খোল মৌজার সাবেক জেএল নং ৩১০, আর এস জে এল নং ১ এস এ খঃ ২৯১ আর এস খঃ ১৬৭, এসএ দাগ নং ৫১০, আরএস দাগ নং ৪১৭, ৪২০ মিলিয়ে মোট ২৯ শতাংশ জমি ক্রয় করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। উক্ত সামছুর রহমান যে ব্যক্তির নিকট থেকে জমি ক্রয় করেছেন পরবর্তীতে তার ওয়ারিশদের নিকট থেকে বড়খোল উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জমি ক্রয় করে। সামছুর রহমানের মতে তিনি যে সম্পত্তিতে বসবাস করেন সেটি ৪২০দাগ নম্বরে। আর স্কুল ক্রয় করেছে ৪১৯ দাগ নম্বরের জমি। বর্তমানে উক্ত বড়খোল উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সামছুর রহমানকে তার সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এক পর্যায় স্কুলের ভবন নির্মান করার সময় বাধা দিলে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে সামসুর রহমান ও তাদের পরিবারের সকলকে মারপিট করে। গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এই প্রক্রিয়া জানতে পেরে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মামুন অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে উক্ত সামছুর রহমানকে তার ভোগদখলকৃত সম্পত্তি যথারীতি ভোগ দখল করতে থাকবে বলে নিষ্পত্তি করে দেন। সেই থেকে ভালো ছিলেন। কিন্তু উক্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদলী হলে পুনরায় স্কুল কর্তৃপক্ষ গ্রামের সকলকে নিয়ে পুনরায় সামছুর রহমানের বাড়ি দখলের প্রক্রিয়া শুরু করে।

সামছুর রহমান বলেন সম্প্রতি তার বাড়ি ঘর ভংচুর করেছে কতিপয় ব্যক্তিরা। রান্নাঘর ভেঙ্গে চারিদিকে বেড়া দিয়ে আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। বর্তমানে বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। এই বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ করতে গেলে উক্ত অফিসার্স ইনচার্জ অভিযোগ গ্রহণ না করে বরং তাকে স্কুল কর্তৃপক্ষের এবং গ্রামবাসীর সুরে সুর মিলিয়ে তাকে বলে ওইটা স্কুলের জমি। তুমি কেন নাক গলাচ্ছো। স্কুলের জমিতে স্কুলের ঘর হবে। তুমি যেখানে ইচ্ছা যাও।

বড়খোল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইচ এম জাকির উদ্দিন বলেন সামছুর রহমান তার নিজের জায়গা ছেড়ে আস্তে আস্তে স্কুলের জায়গায় অবৈধ ভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছিলো। তখন স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও গ্রামবাসীরা স্কুলের সেই জায়গা উদ্ধার করে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরাও করে রেখেছে। এছাড়া অন্যান্য অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন আকন্দ বলেন রাস্তা নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিলো তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে সমাধান করা হয়েছে। পরবর্তিতে বিষয়টি স্থায়ী ভাবে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন আমি বিষয়টি জেনেছি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা করে স্থায়ী সমাধান করে দেওয়া হবে। বর্তমানে উভয় পক্ষকেই শান্ত থাকার কথা বলা হয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই