তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

৩২ বছর হয়নি ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার ক্লাশ

তজুমদ্দিনে ১২৪ মুসলিম শিক্ষার্থীর জন্য নেই কোন ধর্মীয় শিক্ষক
৩২ বছর হয়নি ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার ক্লাশ
[ভালুকা ডট কম : ২৫ সপ্টেম্বের]
ভোলার তজুমদ্দিনে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩২ বছর কোন মুসলিম শিক্ষক না থাকায় হচ্ছেনা ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ক্লাশ। ওই বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই মুসলিম হওয়ায় প্রতিনিয়তই বঞ্চিত হচ্ছেন ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ থেকে।

সুত্রে জানা গেছে, পশ্চিম চাঁদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে দীর্ঘ ৩২ বছর স্কুলটিতে কোন মুসলিম শিক্ষক পদায়ন করা হয়নি। যে কারণে ওই বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত বেশিরভাগ মুসলিম শিক্ষার্থীই ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকি না থাকায় মুসলিম প্রধান দেশে এমন অবস্থা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ ৩২ বছর যাবৎ স্কুলটিতে কোন মুসলিম শিক্ষক না থাকায় ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার ক্লাশ হয়না বললেই চলে। বর্তমানে স্কুলটিতে অধ্যয়রত ১শত ৮৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২৪ জনই মুসলিম শিক্ষার্থী। কর্মরত ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ৫জনই হিন্দু শিক্ষক।

বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী নিজুম আক্তার নুহা, পলি আক্তার ও হাফসা আক্তার বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে মুসলিম শিক্ষক ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ক্লাশ তেমন একটা হয় না। তাই ইসলাম ও নৈতিক বিষয় শিক্ষার জন্য আমাদের বিদ্যালয়ে একজন হলেও মুসলিম শিক্ষক দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি। বিদ্যালয়টির নতুন ভবনের কাজ চলমান থাকায় অন্যত্র টিনসেট ঘরে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

জানতে চাইলে পশ্চিম চাঁদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব চন্দ্র দাস বলেন, ইসলাম ধর্ম পড়াতে ধর্মীয় শিক্ষক প্রয়োজন। আগে শিক্ষা অফিসকে বিষয়টি জানানো হয়েছিলো। কোন শিক্ষক নিজ থেকে বদলী না হলে আমরা কাউকে বদলী করতে পারি না। যে কারণে মুসলিম শিক্ষক পদায়ন করা যাচ্ছে না।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ রাসেল বলেন, স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ধর্মীয় শিক্ষক পদায়ন করা হয়নি। বিষয়টি সাবেক সভাপতিও শিক্ষা অফিসকে জানিয়েছেন। তারপরও অজ্ঞাত কারণে বিষয়টি সুরাহা হয়নি। এখন স্কুলটিতে একজন ধর্মীয় শিক্ষক দেয়ার দাবী জানাচ্ছি কর্তৃপক্ষে নিকট।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, বদলী চালু হলেই ওই বিদ্যালয়ে একজন মুসলিম শিক্ষক সমন্বয় করা হবে।=উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।

তজুমদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান ও শিক্ষা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোশারেফ হোসেন দুলাল বলেন, উপজেলা পরিষদের আগামী সমন্বয় সভায় এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই