বিস্তারিত বিষয়
নওগাঁর বিআরটিএ অফিসে জায়গা নেই নথি রাখার
নওগাঁর বিআরটিএ অফিসে জায়গা নেই নথি রাখার,কোথায় বসবেন কর্মকর্তা-কর্মচারী ! চরম বিপাকে গ্রাহকরা
[ভালুকা ডট কম : ২৯ মার্চ]
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সর্পোট অথরিটি (বিআরটিএ) দেশের একটি গুরুত্বপূর্ন বিভাগ। দিন দিন ছোট-বড় যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে কাজের পরিধিও বৃদ্ধি পেয়েছে এই বিভাগের। দীর্ঘদিনের জনবল সংকটসহ শত শত সমস্যা নিয়ে জরাজীর্ন অবস্থার মধ্যে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে নওগাঁর বিআরটিএ বিভাগ। বর্তমানে এই অফিসে নথি রাখার জায়গা নেই। বসে স্বাচ্ছন্দ ভাবে কাজ করার পর্যাপ্ত জায়গা নেই অফিস কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। তাই নথির গাদাকে নিত্যসঙ্গি করে সেবা দিয়ে আসছেন এই অফিসের কর্তাব্যক্তিরা। এযেন নথির গনকবরের এক অবহেলিত বধ্যভ’মি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি নথির ফাইল বের করতে গেলে হুমড়ি খেয়ে পরে অন্যগুলো। নথি সংরক্ষনের জন্য প্রতিদিন বাড়ছে ফাইলের সংখ্যা। পুরাতন নথি ফাইলের সংখ্যা এখন ১ লাখ ৫ হাজার। এসংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ঠাসাঠাসি ফাইলের এই অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে তাদের আসনে গিয়ে বসতে হচ্ছে দেহের নানান রকম কসরৎ করে। এভাবেই চলছে ২০০৮ সাল থেকে নওগাঁর বিআরটিএ অফিসের কার্যক্রম। নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নীচতলায় ৮ফুট বাই ১০ ফুটের দুইটি কামরা আর সামনের অংশের সামান্য পরিসর নিয়ে এই অফিসের বর্তমান চেহারা। কিন্তু এর মাঝে আবার কাঠবোর্ড দিয়ে কক্ষ তৈরী করে এই অফিসের মধ্যেই বোঝার উপর শাখের আঁটি হয়ে বসছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিএমটিএফ এর প্রতিনিধিরা।
সককারী পরিচালকের রুমে প্রবেশ করতে হয় একহাতের মত সরু স্থান দিয়ে। এই কক্ষের দরজার বালায় দড়ি বেঁধে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রেকর্ড সংরক্ষনের তাকগুলো টেনে বাঁধা হয়েছে। তাকগুলো দরজার অর্ধেকটাই দখল করে আছে। রেকর্ড ফাইলের ভারে সামনের দিকে ঝুঁকে রয়েছে সেই তাকগুলো। এমভিআই এর কক্ষটিও তথৈবচ। অফিস কক্ষে একসাথে ৩/৪জন ঢুকলে দাড়ানোয় দায় হয়ে যায়। যারাই ঢুকছেন তারাই বিরোক্ত প্রকাশ করছেন। এডি বা পরিদর্শকরে কাছে কোন পরামর্শ নিতে গেলে অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে সেবা প্রার্থিদের। পাশ কাটিয়ে প্রবেশের মত কোন পরিসর নাই। এই অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মোট সংখ্যা ৬জন। এডি ১জন, এমভিআই ১জন, এমএ ১জন, ইউডিএ ১জন এলডিএ ১জন ও এও ১জন। সকলেই এখন ঠাসাঠাসি করে বসে কর্মদিনগুলো পারি দিচ্ছেন। এমএ ও ইউডিএ পদের দুজন বদলী নিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। ওই দুইজন ষ্টাফ এই অফিসে জয়েন করে কোন ভাবে অফিসে দাড়িয়ে দাড়িয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাদের বসবার মত কোন জায়গাও ছিলনা। এখন এই অফিসে কর্মরত রয়েছেন বর্তমানে ৪ জন। অফিসটিতে প্রতিমাসে বিপুল পরিমান রেকর্ড সংরক্ষন করা হয়। বছরে প্রায় ৪০টির মত ডিসিটিবি বোর্ড হয়। তখন বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যান ড্রাইভিং লাইসেন্স টেষ্ট পরিক্ষায় অংশগ্রহনকারী ও অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
একটি কাজ নিয়ে জেলার আত্রাই উপজেলা থেকে রুহুল আমীন বিআরটিএ অফিসে এসেছেন। তাকে একটু সরে দাড়াতে বলতেই তিনি চরম বিরোক্ত নিয়ে আক্ষেপ করে বললেন, কি করবো ভাই সব তো দেখতে পাচ্ছেন। দাড়াবো কোথায় বলেন তো?
জেলার সাপাহার উপজেলা থেকে আসা একজন নারী বলেন আপনারা তো পুরুষ মানুষ মানুষ ঠেলে হুটহাট ঢুকতে পারছেন। কিন্তু আমি কি করবো? এই অবস্থা কি কারো চোখে পড়ে না? যখন আসি তখনই দেখি একই অবস্থা।
বিআরটিএ- এর নওগাঁর সহকারী পরিচালক এটিএম ময়নুল হাসান বলেন, যদিও এভাবে বসে কাজ করা খুব কষ্টসাধ্য তারপরও অফিসে আসা গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা দিতে চেস্টা করছি। অফিসের এহেন করুনদশার বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অনেক বার জানিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা হয়নি। জনবল সংকট নিরসনের লক্ষে দুই-একজন ষ্টাফ এসেছিলেন কিন্তু দুখ্যের বিষয় তাদের বসার জায়গা দিতে পারিনি। তারা যেকটা দিন ছিলেন অফিসের মধ্যে দাড়িয়ে ও বাহিরে ঘোরাফেরা করে কাজ করেছেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিএমটিএফ এর নিজস্ব উদ্যোগে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তাদের প্রতিনিধিও এই অফিসেই বসছেন। আমরাও কিছু বলতে পারছি না গ্রহকরা যাতে হয়রানীর শিকার না হয় সেই কথা ভেবে শত কষ্টকে কষ্ট মনে করছি না।
জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ বলেন, এটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। স্থায়ী ভাবে এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমিও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আপাতত বিকল্প ব্যবস্থার চেষ্টা করবো।#
সতর্কীকরণ
সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।
কমেন্ট
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- রাণীনগরে বাঁধের মাটি যাচ্ছে ইট ভাটার পেটে [ প্রকাশকাল : ২৮ মার্চ ২০২৪ ০৩.০০ অপরাহ্ন]
- যশোরে চলছে অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিক [ প্রকাশকাল : ০১ মার্চ ২০২৪ ০৩.০০ অপরাহ্ন]
- গ্রামীণ সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ট্রাক্টর [ প্রকাশকাল : ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৫.০০ অপরাহ্ন]
- শার্শায় বালু উত্তলনে পরিবেশ হুমকির মুখে [ প্রকাশকাল : ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২.৩৫ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরের আবাদপুকুর হাটের জরাজীর্ণ অবস্থা [ প্রকাশকাল : ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১০.৩০ পুর্বাহ্ন]
- জনবল সংকটে তজুমদ্দিনে বেহাল প্রাথমিক শিক্ষা [ প্রকাশকাল : ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২.০০ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে আবাসিক মাস্টারপাড়া [ প্রকাশকাল : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২.০০ অপরাহ্ন]
- রায়গঞ্জ পৌরসভায় নির্মিত ড্রেন বেড়েছে দুর্ভোগ [ প্রকাশকাল : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০২.০০ অপরাহ্ন]
- তজুমদ্দিনে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ [ প্রকাশকাল : ২২ আগস্ট ২০২৩ ০২.২৫ অপরাহ্ন]
- ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদ এমটিএফই [ প্রকাশকাল : ২১ আগস্ট ২০২৩ ০১.৪০ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে কৃষি উপকরণ বিতরণে অনিয়ম [ প্রকাশকাল : ১২ আগস্ট ২০২৩ ০২.০০ পুর্বাহ্ন]
- তজুমদ্দিন হাসপাতালে নেই জলাতঙ্ক ও করোনার টিকা [ প্রকাশকাল : ২৪ জুলাই ২০২৩ ০১.০০ অপরাহ্ন]
- নান্দাইলে অবৈধ কারখানায় হুমকিতে জনজীবন [ প্রকাশকাল : ০৭ জুলাই ২০২৩ ১১.০০ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে শিক্ষক যখন চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীরা [ প্রকাশকাল : ০৪ জুলাই ২০২৩ ০১.০৫ অপরাহ্ন]
- অস্তিত্ব সংকটে রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা বন্দর [ প্রকাশকাল : ০৩ জুলাই ২০২৩ ০১.১০ অপরাহ্ন]